অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ও আশ্রয়ে ট্রাম্পের নতুন আইন

কৌশলী ইমা কৌশলী ইমা , যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৫৫ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৮

মেক্সিকো সীমান্তে দিয়ে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ ও আশ্রয় প্রদানকে নিষিদ্ধ করে নতুন নিয়ম জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে নতুন এ বিধান জারির ঘোষণা দেয়া হয়।

নতুন নিয়মের আওতায় মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে যারা প্রেসিডেন্টের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করবে তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেয়া হবে। মার্কিন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় স্বার্থে’ অভিবাসন ঠেকাতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারণায় অভিবাসনের প্রশ্নটিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলমুখী হাজারও অভিবাসনপ্রত্যাশীর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। অভিবাসীদের প্রতিহত করতে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সকল ভিনদেশী নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তাদের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপের এখতিয়ারও রয়েছে তার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকান সীমান্ত হয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে যারা সে পথ দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে তাদেরকে অভিবাসনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে না।

তবে নতুন জারি করা বিধানটি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এতে শিগগিরই স্বাক্ষর করবেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে নতুন এ নিয়মের বিরোধিতা করেছে ‘দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন’। একে ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে তারা। সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে।

এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।