মার্কিন সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে ১৭ বছরে নিহত পাঁচ লক্ষাধিক
যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদ বিরোধীযুদ্ধে গত ১৭ বছরে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। ২০০১ সালের যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে (১/১১) হামলার পর থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শুর হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে আফগানিস্তান, ইরাক এবং পাকিস্তানে এসব মানুষের মৃত্যু হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এন্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের হিসাব মতে মার্কিন সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ২০০১ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৫ লাখ ৭ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যথাযথ প্রতিবেদন সীমাবদ্ধতার কারনে অনেক নিহতের সংখ্যা সঠিক ভাবে গণনা করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অনেক হামলা আকস্মিক হওয়ায় এর সঠিক সংখ্যাটাও জানা যায়নি। সেগুলোর সঠিক হিসাব পেলে এ সংখ্যা হয়তো আরও বাড়তে পারতো।
‘হিউমান কস্ট অব দ্য পোস্ট ৯/১১ ওয়ার্স: লেথালিটি এন্ড দ্য নিড ফর ট্রান্সপারেন্সি’ নামের ওই প্রতিবেদনটির গবেষক ও লেখক নিরা ক্রফর্ড বলেন, ‘এই যুদ্ধে সরাসারি কতজন মানুষ নিহত হয়েছে সেটা আমরা নির্দিষ্ট করে বানতে পারিনি। তবে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এই যুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর হামলায় ইরাকের মসুল শহরেই কয়েক লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। কিন্তু তাদের মরদেহের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।’
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে অনুয়ায়ী মার্কিন এই যুদ্ধে ইরাকে ১ লাখ ৮২ হজার ২৭২ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৭৫ জন, আফগানিস্তানে ৩৮ হাজার ৪৮০ জন এবং পাকিস্তানে ২৩ হাজার ৩৭২ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া একই সময়ে ইরাক এবং আফগানিস্তানে প্রায় ৭ হাজার মার্কিন সৈন্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, সশস্ত্র যোদ্ধা বা জঙ্গি, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং মার্কিন ও তার মিত্র দেশগুলোর সেনা সদস্যও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন এই প্রতিবেদনে দুই বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের অাগস্টের করা হিসেবের তুলনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি।
উদাহরণ হিসেবে তারা বলছে, আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা মার্কিন যুদ্ধে সম্প্রতি হতাহতের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। দেশটিতে গত কয়েক বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছেন।
এসএ/পিআর