ইসির শুনানি চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকীর রিট


প্রকাশিত: ০৯:৫৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৫

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

রিট আবেদনে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়েছে।

লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে রিট আবেদনটি রোববার বিকালে হাইকোর্টের শাখায় দাখিল করেছেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এর আগে ওই বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটি দায়েরের অনুমতি নেন তিনি।

রিট আবেদনটির শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে থাকবেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, পার্লামেন্ট মেম্বরস (ডিটারমিনেশন অব ডিসপুটস) অ্যাক্ট ১৯৮০-তে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে, সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে কোনো বিবাদ আসলে নির্বাচন কমিশন তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

তিনি দুটি বিষয় তুলে ধরে বলেন, এর একটি হচ্ছে সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের যোগ্যতা, অযোগ্যতার বিষয় এবং সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যদি আমি কোনো রাজনৈতিক দল থেকে পদত্যাগ করি অথবা আমি যদি নিজ দলের বিপক্ষে ভোট দিয়ে থাকি। কিন্তু এর কোনোটিই আমি করিনি।

আবার ৬৬(২) অনুচ্ছেদের মধ্যেও আমি পড়ি না। তাই আমার সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে শুনানির এখতিয়ারও নির্বাচন কমিশনের নেই। তাই আমরা রিট করেছি। আশা করছি আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ, তাবলিগ জামায়াতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকে এবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের ৯ মাস পর গত ৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে তা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চিঠিটি পর্যালোচনা করে স্পিকার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তার বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ১৩ জুলাই চিঠি দেন।

সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ২ আগস্টের মধ্যে জবাব চেয়ে ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের শেষদিনে উভয়পক্ষ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের জবাব দেয় ইসিতে।

পরে আওয়ামী লীগ এবং বহিষ্কৃত নেতার জবাব পর্যালোচনা করে কমিশন আগামী ২৩ আগস্ট তাদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। এ অবস্থায় ইসির শুনানির এখতিয়ারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের হল।

এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।