তদন্তের নাম করে হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করছে সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার তদন্ত করতে এসে প্রমাণ মুছে ফেলছে সৌদি তদন্তকারীরা। হত্যার তদন্তে তুরস্কের কর্মকর্তাদের সাহায্য করতে আসলেও তার উল্টোটা করছে বলে অভেযাগ তুরস্কের। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের দৈনিক সাবাহ।

প্রতিবেদনে ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়, খাশোগি হত্যার নয় দিন পর তদন্তে সহযোগিতা করতে তুরস্কে আসে সৌদির ১১ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল। তারা যৌথ তদন্তের নাম করে উল্টো হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সৌদির ওই তদন্তকারী দলে দুজন কেমিস্ট ও টক্সিওলোজি বিশেষজ্ঞ আছেন। তারাই হত্যার প্রমাণ মুছে ফেলার কাজটি করছেন।

তুরস্কের ওই ঊর্ধ্বতন তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন, খাশোগিকে হত্যার পর ইস্তাম্বুলের কনস্যুলেটে তুরস্ক পুলিশের তল্লাসির আগেই ওই দুজনকে হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করার জন্য পাঠায় সৌদি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ঊর্ধ্বতন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, খাশোগি হত্যার প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ওই দলকে পাঠানো হয়েছে। খাশোগি হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করতে সৌদি তদন্ত দলের সঙ্গে আসা ওই দুই বিশেষজ্ঞ হলেন, আহমেদ আবদুল আজিজ আল-জানোবি ও খালেদ ইয়াহিয়া আল-জাহরানি।

খাশোগি হত্যার তদন্তে একের পর এক বের হয়ে আসা চাঞ্চল্যকর তথ্যের মধ্যে সর্বশেষ তথ্য এটি। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একের পর এক খাশোগি হত্যার নগ্নসত্য প্রকাশ করে চলেছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে সৌদি আরবের প্রতি তুরস্ক তাদের চাপ অব্যাহত রেখেছে। তারা প্রমাণ করতে চাইছে কোনোভাবে খাশোগি হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পারবে না সৌদি।

রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাবার মরদেহ ফেরত চেয়েছেন সাংবাদিক জামাল খাশোগির ছেলে সালাহ ও আবদুল্লাহ খাশোগি। এছাড়া সম্প্রতি তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদির ১৫ সদস্যের কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম তিন সদস্য মাহির মুতরিব, সালাহ তুবেগি ও তাহার আল হারবি পাঁচটি স্যুটকেসে করে খাশোগির টুকরো করা মরদেহ সৌদিতে নিয়ে যায়।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।