শেষ ৪ উড়ালেই সমস্যা ছিল ইন্দোনেশিয়ার সেই বিমানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫১ এএম, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

গত মাসে ১৮৯ আরোহী নিয়ে সাগরে বিধ্বস্ত হয় ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি বিমান। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের চার ফ্লাইটে এর এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর ভালোভাবে কাজ করছিল না বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়ও এয়ার ইন্ডিকেটর কাজ করছিল না বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটি।

তদন্তকারীরা বিধ্বস্ত বিমানের ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার বিশ্লেষণ করে ২৯ অক্টোবরে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ত্রুটি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন বলে ওই কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা প্রকাশ করা হলো।

ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো তাহজোনো বলেন, এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে আমরা এনটিএসবি এবং বোয়িংয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

plane

সোমবার কমিটির ক্যাপ্টেন নুরকাহিয়ো উতোমো সিএনএনকে বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের শেষ ৪ উড়ালেই এয়ার স্পিড ইন্ডিকেটরে সমস্যা পেয়েছি আমরা। এমনকি যে ফ্লাইটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটাতেও সমস্যা ছিল।

ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করতে আমরা এনটিএসবি এবং বোয়িংকে আহ্বান জানিয়েছি। বিধ্বস্ত বিমানটির ককপিটে দুটি এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন উতোমো। একটি ছিল পাইলটের জন্য এবং অপরটি কো-পাইলটের জন্য।

জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিটের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং পরে দেখা যায় সেটি জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ এর আগে নিশ্চিত করেছে যে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের দিন অন্য রুটে ওই একই বিমান চালানোর সময় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখতে পেয়েছিলেন পাইলট।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।