অধ্যক্ষের যৌন লালসার সাজা ১০৫ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৮

স্কুলের ছোট ছোট ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের কৌশলে রুমে নিয়ে যৌন নিপীড়নের পর তা মোবাইলে ধারণ করে রাখতেন তিনি। নিজের অপকর্মের কথা যাতে অন্যদের কাছে না ফাঁস করেন সেজন্য প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন তিনি। রোমহর্ষক এমন ঘটনা ঘটিয়ে অবশেষে ধরা পড়েছেন পাকিস্তানের একটি বেসরকারি স্কুলের এক অধ্যক্ষ।

পাকিস্তানের পেশোয়ারের ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী প্রথমে স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মা স্কুলের অধ্যক্ষ আতাউল্লা মারওয়াতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ আতাউল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতন, লাগাতার ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার দায়ে অভিযুক্ত এই অধ্যক্ষকে ১০৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১৪ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : অফিসে যৌন হয়রানি, বিশ্বজুড়ে গুগল কর্মীদের নজিরবিহীন প্রতিবাদ

দেশটির গণমাধ্যম বলছে, চলতি বছরের জুলাইয়ে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে এক শিক্ষার্থী। সেই সময় এই বিষয়টি পাকিস্তানে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পায়, শুধু ওই নাবালক কিশোরই নয়, স্কুলের অধ্যক্ষের বিকৃত যৌন লালসার শিকার হয়েছেন খুদে ছাত্রী ও নারী শিক্ষকরাও। স্কুলের তিনটি কক্ষে চলত ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন। অনেক সময় ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের নিজ বাসায় তুলে নিয়ে যেতেন আতাউল্লা। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখতেন তিনি। সেই ভিডিও দেখিয়ে পরবর্তীতে চলতো ব্ল্যাকমেইলিং।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।