কুমিল্লায় খন্দকার মোশতাকের বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে বহুল আলোচিত ও সমালোচিত প্রয়াত খন্দকার মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও প্রচেষ্টাকালে পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশের বাধা পেয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদনগর ট্রমা সেন্টার এলাকায় অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করে।
রোববার বিকাল ৫টায় দাউদকান্দি উপজেলা আ’লীগের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল উপজেলার দশপাড়াস্থ খন্দকার মোশতাকের বাড়ি ঘেরাও করা। তবে এ সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই গ্রামে প্রবেশের রাস্তায়ই চার প্লাটুন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা যায়, রোববার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে দলীয় নেতাকর্মীরা খন্দকার মোশতাকের দশপাড়াস্থ বাড়ির দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে ওই কর্মসূচি সফল না হলেও নেতাকর্মীরা বিকল্পস্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
শহীদ নগর ট্রমা সেন্টার এলাকায় আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব) মোহাম্মদ আলী সুমন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুছ সালাম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান মিয়া, শ্রমিক লীগ সভাপতি রকিব উদ্দিন, এসএম কেরামত আলী, শাহাজাহান আলী ভূঁইয়া, আসলাম চেয়ারম্যান, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম মিয়াজী, তিতাস উপজেলা যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, দাউদকান্দি যুবলীগ নেতা ভিপি মেহেদী হাসান সজিব প্রমুখ।
মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন তার বক্তব্যে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খুনিদের মদদপুষ্ট খুনি মোশতাকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দাউদকান্দির মাটিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে হবে।
এদিকে ওই কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা দেয়া প্রসঙ্গে রাতে দাউদকান্দি থানার ওসি আবু সালাম মিয়া জাগো নিউজকে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ বাধ্য হয়ে দশপাড়ায় নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে দেয়নি।
কামাল উদ্দিন/বিএ