ছিন্নভিন্ন মরদেহের ডিএনএ টেস্ট শুরু
ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে লায়ন এয়ারের একটি বিমান। বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো মানুষের মরদেহ অক্ষত অবস্থায় খুঁজে পায়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে ঠিক কতজন ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সেটাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তারা। তবে উদ্ধার অভিযানে কিছু মরদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ওই লাশগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লাশগুলো কার কতজনের বোঝার উপায় নেই
ইন্দোনেশিয়া পুলিশের উপ-প্রধান জেনারেল আরি দোনো সুকামতো বলেছেন, কমপক্ষে ১৫ জন ফরেনসিক ডাক্তার ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞ মরদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নির্ণয় করার কাজ করছে। দেশটির জাতীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জাভা সাগর থেকে যাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে।
পুলিশের উপ-প্রধান জেনারেল আরি দোনো সুকামতো মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘উদ্ধারকর্মীরা এখন পর্যন্ত ২৪টি মরদেহের ব্যাগ আমাদের কাছে দিয়েছে। যেগুলো আসলে সম্পূর্ণ কোনো মরদেহ নয়, শরীরের এক একটি অংশ বিশেষ। আমরা বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম জাকার্তা পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত ওই বিমানে থাকা যাত্রীদের ১৫২ জনের আত্মীয় স্বজনের ডিএনএর নমুনা নেয়া হয়েছে। পূর্ব জাকার্তার ভয়াঙ্কারা পুলিশ হাসপাতালে তাদের কাছ থেকে এই নমুনা নেয়া হয়।
সোমবার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পর স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানের ধ্বংসাবশেষ ও আশেপাশের এলাকায় উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।
এসএ/টিটিএন/পিআর