ক্রিকেটে মনোযোগী হতে ভারতের প্রতি গাভাস্কারের পরামর্শ


প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৫

গল টেস্টে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত শ্রীলংকার কাছে নতি স্বীকার করাকে ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার। ধাওয়ান-কোহলিদের উদ্দেশ্যে ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, অযথা আগ্রাসী কথাবার্তা না বলে তাদের উচিত ভাল ক্রিকেট খেলার উপর মনোযোগী হওয়া।

একদিন হাতে রেখেই শ্রীলংকা স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের স্পিন ঘূর্ণিতে ৬৩ রানে জয়ী হয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে। চতুর্থ দিনে ১৭৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতীয় ইনিংস ১১২ রানেই গুটিয়ে গেলে স্বাগতিকরা দারুন এই জয় তুলে নেয়। হেরাথ একাই নেন সাত উইকেট।

এনডিটিভিকে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাতকারে গাভাস্কার বলেছেন, আমি মনে করি আক্রমনাত্মক, পরীক্ষামূলক কথাবার্তা বলা আমাদের বন্ধ করতে হবে। এখন আমাদের শুধুমাত্র নিজেদের খেলার প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে এবং নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে। বিশেষ করে অন্য দেশে খেলতে গেলে সেখানকার পিচের সাথে যা মানাবে তার দিকেই আমাদের নজড় দিতে হবে। প্রতিপক্ষ দলটির দিকেও সমানভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভাল ক্রিকেট খেলার এটাই একমাত্র পন্থা। অযথা বাড়তি কথা না বলে নিজেদের খেলার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রত্যেকেরই এর প্রতি মনোযোগী হতে হবে। রক্ষনাত্মক বা আক্রমনাত্মক ক্রিকেট নয়, ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মোদ্দা কথা হচ্ছে দিনের শেষে দল যাতে জয়ী হয়।

তবে গাভাস্কার এখনো বিশ্বাস করেন আগামি দুই ম্যাচে ঘুড়ে দাঁড়ানোর মত প্রতিভা ভারতের রয়েছে। তিনি বলেন, এটা অবশ্যই সম্ভব। কারন আমি মনে করি এই ধরনের পরাজয় পুরো দলকে মানসিকভাবে খাটো করে দেয়। এটা এখন বিরাট কোহলি এবং রবি শাস্ত্রীর দায়িত্ব দলকে উজ্জীবিত করে তোলা, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।

ভারতের পাশাপাশি লড়াকু মনোভাবের জন্য শ্রীলংকারও প্রশংসা করেছেন গাভাস্কার। তিনি বলেন, ভারতের দিকে দৃষ্টি দেবার আগে আমাদের অবশ্যই পুরো কৃতিত্ব শ্রীলংকাকে দেয়া উচিত। তারা পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ ছেড়ে দেয়নি। পুরো ম্যাচেই তারা ইতিবাচক ছিল। এমনকি দ্বিতীয় দিনের শেষে উইকেট হারালেও তারা পিছিয়ে যায়নি।

এমআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।