লাশগুলো কার কতজনের বোঝার উপায় নেই
১৮৯ আরোহী নিয়ে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার লাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। এখনও পর্যন্ত বিমানের সব আরোহীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঠিক কতজন ওই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে সেটাও নিশ্চিত নয়। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানের কোন আরোহীই হয়তো আর বেঁচে নেই।
রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের মাত্র ১৩ মিনিট পরই সোমবার সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বিমানের ধ্বংসাবশেষ এবং আশেপাশের এলাকায় এখনও উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে। সর্বশেষ একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা (বাসারনাস)।
ডেপুটি ন্যাশনাল পুলিশের প্রধান এরি দোনো সুকমান্তো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি সেখানে একটি শিশু এবং বেশ কয়েকজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির শরীরের অংশ এবং জুতা ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেখেছি। প্রকৃত পরিচয় জানতে এগুলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
উদ্ধার অভিযানে ৬৫১ জন পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। এছাড়া মরদেহ ও অন্যান্য জিনিসপত্র পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন ১৫ জন ফরেনসিক অফিসার। মেডিকেল রেকর্ডের জন্য নিহতদের প্রায় ১৫১ জন স্বজন ডিএনএর নমুনা প্রদানে এগিয়ে এসেছেন।
তবে মরদেহের পরিচয় খুঁজে বের করা কঠিন হবে বলে উল্লেখ করেছেন সুকমান্ত। কারণ অল্প সংখ্যক মরদেহই অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বিধ্বস্ত বিমান ও এর আশেপাশের জায়গা থেকে মরদেহ সংগ্রহ করে প্রায় ২৪টি ব্যাগে করে হাসপাতালে পোস্ট মর্টেমের জন্য নেয়া হয়েছে। তবে এই ব্যাগগুলোতে মোট কতটি মরদেহ রয়েছে সে সম্পর্কে পরিস্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রায় ১৩২টি পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা নেয়া হয়েছে।
এদিকে, সব কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারকে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট এড়িয়ে চলতে বলেছে অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ। বিমান বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করা পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
টিটিএন/পিআর