ভৈরব বিএডিসি গুদাম থেকে সার আত্মসাৎ
ভৈরব বিএডিসি সার গুদাম থেকে ৯২ হাজার বস্তা সার আত্মসাৎ করার অভিযোগে সাতজনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর রোববার কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।
গত মাসের ১২ জুলাই ময়মনসিংহের আঞ্চলিক কার্যালয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা পাল কমল চন্দ্র এ চাঞ্চল্যকর মামলাটির চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। এ মামলায় বিএডিসির ভৈরব গুদামের সহকারী পরিচালক (সার) মো. রেজাউল করিম, গুদাম রক্ষক মো. খোর্শেদ আলম, কিশোরগঞ্জ বিএডিসির সাবেক যুগ্ম পরিচালক মো. আহাদ আলী, গুদামের সরদার মো. রতন মিয়া, সার ডিলার প্রতিনিধি মো. হারিছুল হক, লিটন রায় ও সারোয়ার আলম সবুজকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে রেজাউল ও খোরশেদ আগেই গ্রেফতার হয়ে কিশোরগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন। অভিযুক্ত সরদার রতন মিয়া গত ১১ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান। অপর চারজন অভিযুক্ত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ১১ নভেম্বর গুদামে সার ঘাটতির ঘটনাটি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার দিন (১৬ নভেম্বর) বিএডিসি কিশোরগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক মো. শহিদুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে (রেজাউল ও খোরশেদ আলম) একটি মামলা দায়ের করেন। পরে থানা থেকে মামলাটি ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অফিসে তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দুদক মামলাটি সাত মাস পঁচিশ দিন তদন্ত করার পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
ঘটনা নজরে আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদন্তে ভৈরব বিএডিসি গুদাম থেকে ২২ কোটি ২৩ লাখ ২ হাজার ১শ ৬৪ টাকা মূল্যের ৯২ হাজার ৬শ ১৬ বস্তা সার ঘাটতি পায় কর্তৃপক্ষ। গুদাম রক্ষক মো. খোরশেদ আলম দায়িত্বে থেকে কয়েক বছর সময়ে উল্লেখিত সার অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. শহিদ উল্লাহ মামলাটি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে পাঠানোর কথা স্বীকার করেন।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এমজেড/আরআইপি