ছেলে কান্না না থামানোয় মায়ের কাণ্ড
সন্তানের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল তার মা। সন্তান কান্নাকাটি করলে শত ব্যস্ততার মাঝেও তা থামানোর চেষ্টা করেন এই মা। সন্তানের মঙ্গলের জন্য যত ত্যাগ সব মায়েদের। তবে কিছু মা বোধহয় আছেন যাদের কাছে সন্তানের কান্না চরম বিরক্তির কারণ। তাই বলে বিরক্তির বহিঃপ্রকাশ খুন! কান্নায় বিরক্ত হয়ে এক মা বাথটাবে চুবিয়ে মেরেছেন সন্তানকে। ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনবরত কাঁদতে থাকায় বাথটাবে চুবিয়ে এক বছরের ছেলেকে খুন করেছেন তার মা। জেন্না ফলওয়েল (১৯) নামের ওই পাষণ্ড মা পরে সন্তানের মরদেহ বাড়িতে একটি ব্যাগে লুকিয়ে রাখেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নেন। এজন্য প্রথমে তিনি স্থানীয় একটি পার্কে চলে যান। সেখান থেকে ৯১১ নম্বরে ফোন করে জানান, তার সন্তানকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে পুলিশ তদন্তের অংশ হিসেবে তার বাড়িতে তল্লাশি করলে ব্যাগের মধ্যে সন্তানের মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ফলওয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণির হত্যার (খুন) অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়েছে কি না-তা জানা যায়নি।
নিহত সন্তান রেইনারের বাবা এরিক ক্যানকু আদালতে জানান, তার ছেলে রেইনার একদমই পারফেক্ট ছিল। তার আচরণ ছিল খুবই সুখকর ও শান্ত মেজাজের। মারা যাওয়ার আগের রাতেও সে অনেক শান্ত ছিল।
‘আমি আর আমার ছেলেকে হাঁটতে আর কথা বলতে দেখব না। সে আর আমার সঙ্গে খেলবে না, মাছ ধরতেও যাবে না। সে আর আমার সঙ্গে স্কুলে যেতে পারবে না। সে ( জেন্না ফলওয়েল) আমার সঙ্গে আমার ছেলের সব মুহূর্তকে কেড়ে নিয়েছে’-কথাগুলো আদালতে বলছিলেন আর বিলাপ করছিলেন বাবা এরিক।
তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমি চাই তার যাবজ্জীবন দেয়া হোক এবং সে যেন প্যারোলে মুক্তি না পায়। যাতে করে সে প্রতিদিন এটা উপলব্ধি করতে পারে যে, সে তার মাসুম বাচ্চাটার সঙ্গে কী করেছে।’
জেন্না পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ছেলেকে নিয়ে বাথটাবে গোসল করছিলেন। এ সময় সে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। কিছুতেই কান্না থামানো যাচ্ছিল না। তাই রাগের মাথায় তিনি তার সন্তানকে বাথটাবে এক মিনিট চুবিয়ে রেখেছিলেন। তবে যখন তাকে পানি থেকে তুলে আনা হয়, তখন সে জীবিত ছিল না। বিষয়টি গোপন রাখতেই তিনি মরদেহ ব্যাগে ভরে রাখেন। এরপরই তিনি পার্কে ছুটে যান এবং ছেলে অপহরণের নাটক করেন।
এসআর/পিআর