খাশোগির পরিবারের সৌদি ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৪৭ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

সাংবাদিক জামাল খাশোগির পরিবারের সদস্যদের সৌদি আরব ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে রিয়াদ। সৌদি কর্তৃপক্ষের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তারা বলেছেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সত্য উন্মোচনে আগ্রহী হলে তার পরিবারের সদস্যদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত সৌদি আরবের।

এর আগে মঙ্গলবার বাদশাহ সালমান ও প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সৌদি রয়্যাল কোর্টে সাক্ষাৎ করেন তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যাকাণ্ডের শিকার জামাল খাশোগির দুই ছেলে ও এক আত্মীয়।

সৌদির সরকারি সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস অ্যাজেন্সির (এসপিএ) প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, খাশোগির ছেলে সালাহ ও তার এক আত্মীয় সাহল আহমেদ খাশোগি বাদশাহ ও প্রিন্সের সঙ্গে করমর্দন করছেন।

আরও পড়ুন : ২১ সৌদি নাগরিকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

গত ২ অক্টোবর তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হন রাজপরিবারের সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাশোগি। খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।

সৌদি আরবের মানবাধিকার কর্মী ও খাশোগির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইয়াহিয়া আসিরি বাদশাহ ও যুবরাজের সঙ্গে সালাহর সাক্ষাতের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, খাশোগির পরিবারের সদস্যদের ওপর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ সত্ত্বেও রাজপ্রাসাদে ডেকে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুতর লাঞ্ছনা।

আরও পড়ুন : খাশোগি হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে সৌদি : ট্রাম্প

তিনি বলেন, জামাল আমাকে বলেছিলেন যে, সৌদি ত্যাগে তার পরিবারের ওপর অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি খাশোগির স্ত্রীকে জোরপূর্বক তালাক দিতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে ফেরত আনতে বাধ্য করার লক্ষ্যে পরিবারের সদস্যদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদি এই মানবাধিকার কর্মী বলেন, যদি তারা সত্য উন্মোচনে আগ্রহী হয় তাহলে হত্যার দায় স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই খাশোগির পরিবারের ওপর আরোপিত দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।