আফগানিস্তানের কড়া নিরাপত্তার নির্বাচনে বোমা হামলায় নিহত ১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি নির্বাচনী কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার কাবুলের উত্তরাঞ্চলীয় একটি এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি এ হামলা চালায়।

সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ও তালেবান বিদ্রোহীদের হুমকির মধ্যেই শনিবার দেশটির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হলে দেশজুড়ে বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী নিহতের সঠিক সংখ্যা বলতে পারেনি।

দেশটির ঊর্ধ্বতন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, আত্মঘাতী ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ৫ জন পুলিশ সদস্যও ছিলেন। দেশটিতে আজকের নির্বাচনে ছোট ছোট অনেক হামলা হলেও এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ। তবে এখনও এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করে নি।

দিনজুড়ে রাজধানী কাবুলের একাধিক ভোটকেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু লোক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষায় থেকেও ভোট দিতে না পেরে ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা বহু হতাহত হয়েছে বলে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করলেও কোনও সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

নয় ঘণ্টা ধরে চলা ভোট গ্রহণ পর্বে প্রায় ৫ হাজার কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও ঝুঁকির কারণে আরও প্রায় দুই হাজার কেন্দ্রে ভোট দিতে পারছেন না আফগানিরা।

এদিকে, এই নির্বাচনকে ভুয়া আখ্যা দিয়েছে তালেবান। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যারা নিরাপত্তা দিয়ে এই নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠানে সহায়তা করছে তারাও লক্ষ্যবস্তু হবে এই নির্বাচন প্রতিরোধ ও ব্যর্থ করে দেওয়ার কোন চেষ্টাই বাকি রাখা হবে না।’

২০১৫ সালে আগের সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে বিতর্ক ও যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তা করা যায়নি। আগামী বছরের এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে এবারের সংসদ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।

এসএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।