রাখাইনে আশ্রয় শিবিরে আগুন, ৬ রোহিঙ্গা নিহত
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগের বরাত দিয়ে ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নিষ্ঠুর অভিযানের মুখে ৭ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তখন থেকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মিয়ানমারের এই রোহিঙ্গা সঙ্কট।
আরও পড়ুন : সৌদি যুবরাজকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে?
রাখাইনে রক্তাক্ত অভিযান পরিচালনার দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় সেনা জেনারেলদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক পরিষদ। তবে জাতিসংঘের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটি।
২০১২ সালে দেশটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর রাখাইনের রাজধানী সিত্তের দক্ষিণে এক আশ্রয়শিবিরে ১ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেয়া হয়। আশ্রিত এই রোহিঙ্গাদের জীবন-যাপন প্রায় কারাবন্দীদের মতোই।
দেশটির উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের তাণ্ডবে ওই বছর রাখাইনে শত শত রোহিঙ্গার প্রাণহানি ঘটে। মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মকর্তা হ্যান সোয়ে বলেন, অনডু চ্যা আশ্রয়শিবিরে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে। সিত্তে থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরের এই রোহিঙ্গা শিবিরে শুক্রবার মধ্যরাতে আগুনের সূত্রপাত হয়। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
তিনি বলেন, আগুনে ছয়জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী রয়েছেন। রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ টি ঘর পুড়ে গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত ৩টা বেজে যায়। শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় ৮২০ জন রোহিঙ্গা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।
এসআইএস/আরআইপি