চোখের সামনেই মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি দেখলেন জয়নাবের বাবা
পাকিস্তানে ছয় বছরের শিশু জয়নাবকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হল ধর্ষণে অভিযুক্ত ইমরান আলীকে। বুধবার ভোরে লাহোরের কোট লাখপাট কারাগারে ইমরান আলি নামের ওই হত্যাকারীকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ফাঁসি দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি। চোখের সামনে মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি কার্যকর হতে দেখেছেন তিনি।
চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ছোট্ট জয়নাব। কোরআন শিখতে গিয়েছিল সে। ৯ জানুয়ারি একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যার আগে ধর্ষণ করা শিশুটিকে। এই ঘটনার পর ‘জাস্টিস ফর জয়নাব’ দাবিতে ১০ জানুয়ারি থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানকার মানুষ। ‘হ্যাশট্যাগ জাস্টিস ফর জয়নাব’ লিখে প্রতিক্রিয়া জানান জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট তারকারাও।
জয়নাবকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে লাহোরে বিক্ষোভ মিছিল করে শিশুরা। জয়নাবের লাশ যেখানে পাওয়া যায়, সেখানে একটি খালি বাক্স পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ফরেনসিক পরীক্ষার সূত্র ধরে ২৪ জানুয়ারি ইমরান আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফেব্রুয়ারিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জয়নাবের বাবা আমিন আনসারি। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের চোখে তার ভয়ংকর পরিণতি দেখেছি। তাকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে ঝুলিয়ে রাখা হয়।’
আমিন আনসারি এর আগে জনসম্মুখে এই ফাঁসি কার্যকরের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে লাহোর হাইকোর্ট তা নাকচ করে দেয়। আমিন আনসারি জানান, বেঁচে থাকলে এখন জয়নাবের বয়স হতো সাত বছর দু’মাস।
টিটিএন/আরআইপি