বিতর্কিত সেই ‘জ্যাকেটের’ ব্যাখ্যা দিলেন মেলানিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৯ এএম, ১৪ অক্টোবর ২০১৮

২১ জুন। আমেরিকার টেক্সাসে অভিবাসী শিশুদের আটককেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পপত্নী মেলানিয়া ট্রাম্প। টেক্সাস থেকে ওয়াশিংটনে ডিসিতে ফেরার পথে তার গায়ে ওই জলপাই রঙের বিতর্কিত জ্যাকেটটি দেখা যায়। যার পেছনে সাদা হরফে বড় বড় করে লেখা, ‘আই রিয়েলি ডোন্ট কেয়ার, ডু ইউ?’ (অর্থাৎ আমি আসলেই পরোয়া করি না, আপনি?)

বিমানে ওঠার সময় তার জ্যাকেট পরা ছবিটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। যে জ্যাকেট ঘিরে শুরু হয় যাবতীয় বিতর্ক। এ সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ভুয়া গণমাধ্যমের জন্য এটি একটি বার্তা। তার কমিউনিকেশন প্রধান বলেছিলেন, ‘এটা শুধু একটা জ্যাকেট ছাড়া কিছু না।’

এ সময় অনেকে ধারণা করেছিলেন, মেলানিয়া নিছক উদ্দেশ্যে এই ধরনের জ্যাকেট পরেননি। এর পেছনে অবশ্যই একটা গোপন রহস্য আছে। অবশ্য মেলানিয়ার মুখপাত্র বরাবরই এটি অস্বীকার করে গেছেন।

এবার সেই বিতর্কিত জ্যাকেটের আসল ব্যাখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্পপত্নী। শনিবার মেলানিয়ার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবিসি নিউজ। এ সাক্ষাৎকারে জ্যাকেটের ‘আলোচিত মেসেজের’ ব্যাখ্যা দেন সাবেক এই মডেল।

তিনি বলেন, ‘এটা সত্যি যে, আমি জ্যাকেটটি বাচ্চাদের জন্য পরেছিলাম না। আমি প্লেনে ওঠার সময় এবং বের হওয়ার সময় পরেছিলাম।’

‘আমি এটা পরেছিলাম ওইসব লোকজন এবং ওইসব গণমাধ্যমের জন্য, যারা সবসময় আমার সমালোচনা করে। আমি তাদেরকে বোঝাতে চাই, আমি এসবে পাত্তা দিই না। আপনাদের যা ইচ্ছা বলতে পারেন। আমি যা ভালো মনে করি তা করতে আপনাদের সমালোচনা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না’-যোগ করেন ট্রাম্পপত্নী।

পোশাক নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেন মেলানিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করি, আমি যদি ওই সময় জ্যাকেটটি না পরতাম, তাহলে কি আমি এত মিডিয়া কাভারেজ পেতাম?’ এ সময় তিনি মিডিয়াকে খোঁচা মেরে বলেন, ‘আমি বরং মিডিয়ার কাছে এটা প্রত্যাশা করব যে, তারা আমি যা পরি তার চেয়ে আমি যা করি বা আমার কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দিক।

সূত্র: বিবিসি

এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।