তুরস্কে মুক্তির পর দেশে ফিরছেন সেই মার্কিন যাজক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে মুক্তি দিয়েছে তুরস্ক। মুক্তি পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা করেছেন তিনি। দু’বছর কারাভোগের পর তুরস্কের একটি আদালত ব্রুনসনকে মুক্তি দেয়।

অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনের আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন এবং আঙ্কারার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই কূটনৈতিক বিরোধ চলছিল। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার মেরিল্যান্ডের একটি সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছাবেন ব্রুনসন।

অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে প্রায় দু’বছর ধরে আটকে রেখেছিল তুরস্ক। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ব্রুনসন এবং তার স্ত্রী নোরিনকে স্থানীয় থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয়। তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যান। কিন্তু মুক্তি দেয়ার বদলে তাদের দু’জনকেই পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।

২০১৬ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পর যে ৫০ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ব্রুনসন এবং স্ত্রীও ছিলেন।

আটকের কয়েকদিন পরে নোরিন ব্রুনসনকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে ডিসেম্বর মাসে ধর্মযাজক ব্রুনসনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে তুরস্ক। সেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য এবং তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার তুরস্কের একটি আদালত ব্রুনসনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছর ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়। তবে এরই মধ্যে ব্রুনসন দু’বছর সাজা খেটেছেন বলে আদালত তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। তার ওপর গৃহবন্দীর আদেশ প্রত্যাহার এবং একই সঙ্গে তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়।

আদালতের আদেশ পাওয়ার পরপরই ব্রুনসন তার বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন। তিনি তার স্ত্রী নোরিনিকে নিয়ে ইজমির প্রদেশের বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা করেন।

এক বিবৃতিতে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে ব্রুনসন বলেন, এই দিনটির জন্যই আমাদের পরিবার প্রার্থনা করছিল। নিজের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারছি বলে আমি বেশ আনন্দিত।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।