পূজায় কারাগারে মাছের কালিয়া আর খাসির মাংস
শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। কারাগারও এর বাইরে নয়। এরমধ্যে প্রেডিডেন্সি জেলে জঙ্গি নেতাসহ অন্যদেরও পূজা উপলক্ষে খাবারের তালিকায় থাকছে বাটা মাছের কালিয়া আর খাসির মাংস।
সেখানে বিশেষ সেলে বন্দি আছেন জঙ্গি নেতা আফতাব। তার সেলে এই খাবার পৌঁছে দেবেন এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। তবে তার আগে নিরাপত্তার নিশ্চিতে এক কারারক্ষীকে দিয়ে সেই ‘স্পেশাল ডিশ’ পরীক্ষা করেই সেলের ভিতর তা পাঠানো হবে।
এছাড়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে আলিপুর ও দমদম সেন্ট্রাল জেলেও বন্দিদের রুই অথবা কাতলা মাছের কালিয়া খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে পশ্চিমবঙ্গের কারা অধিদফতর। এরমধ্যে নবমীর দিন দুপুরের মেনু হিসেবে থাকছে খাসির মাংস।
জানা গেছে পশ্চিমবঙ্গে কারাগারেও পূজা। পূজার সময় জেলের ভিতর জাত, ধর্ম নির্বিশেষে আনন্দে মেতে ওঠেন বন্দিরা। তাদের জন্য থাকে ভালমন্দ খাবার।
কারা সূত্রে জানা গেছে, আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে সপ্তমীর দুপুরে থাকছে মাছের কালিয়া, আর রাতে ডিমের কালিয়া। অষ্টমীর সকালে দেয়া হবে লুচি আর পায়েস। সেদিন তিন জেলের মেনুতেই থাকবে নিরামিষ।
এরমধ্যে আলিপুর কারাগারে দুপুরে দেয়া হবে নিরামিষ খিচুড়ি। সঙ্গে ভাজা। রাতে ফ্রায়েড রাইস ও আলুর দম। তবে নবমীতে দুপুরের মেনুতে অবশ্যই থাকবে খাসির মাংস, সঙ্গে পোলাও। আর রাতে ডাল ও পাঁচমিশালি তরকারি। দশমীতে থাকছে শুক্তো, মুগের ডাল, মাছের কালিয়া। রাতের মেনুতে থাকছে ডিমের কালিয়া।
প্রেসিডেন্সি জেলের মেনুও একই রকমের। কিন্তু এই বছর বন্দিদের আবদার, তাদের যেন বাটা মাছের কালিয়া দেয়া হয়। তাই এবার আফতাব আনসারি বা মাওবাদী বন্দিদের পাতে পড়বে এই পদটি।
এছাড়া দমদম সেন্ট্রাল জেলে মহালয়া থেকেই কোনো দিন বন্দিদের দেয়া হচ্ছে সুস্বাদু ঘুগনি, আবার কোনো দিন চিঁড়ের পোলাও। এই বছর এই জেলের বন্দিদের জন্য মাছের কালিয়া, খাসির মাংস ছাড়াও এক বেলার জন্য থাকছে চিকেন কষা।
পাশাপাশি কখনও লাঞ্চ আবার কখনও ডিনারে বন্দিদের পাতে দেয়া হবে ছোলার ডাল, ডিম তড়কা বা মাছের মাথা দিয়ে সবজি। সঙ্গে থাকছে অমৃতি বা রসগোল্লা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তিনটি জেলের ক্যান্টিনে সারা বছরই সুস্বাদু খাবার মেলে। তবে পুজোর সময় ক্যান্টিনগুলিতে বন্দিদের জন্য আরও বিশেষ কিছু পদ ও মিষ্টি আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারা অধিদফতর
এমএমজেড/এমএস