ইন্দোনেশিয়ায় সুনামিতে নিহতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৮

ভূমিকম্প ও সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্ধারকর্মীদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জাকার্তা। দ্রুত ইন্দোনেশিয়া ছাড়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে তাদের।

দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, যেসব বিদেশি এনজিও উদ্ধার কাজে বিদেশি নাগরিকদের নিয়োগ করেছে, তাদের দ্রুত ফেরত নিতে হবে।

উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে এমনিতেই বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে। বিধ্বস্ত হওয়া অনেক এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা এখনও পৌঁছাতেই পারেননি। এমন অবস্থায় এই নির্দেশ অনেকের কাছেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মনে হচ্ছে।

যেকোনো দুর্যোগেই সাধারণত বাইরের সাহায্য নিতে চায় না ইন্দোনেশিয়া। এ বছরের শুরুর দিকে লম্বক দ্বীপে ভূমিকম্পে বিপুল হতাহতের ঘটনা ঘটলেও বিদেশি কোনো সংস্থাকে সাহায্যের অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার।

এবার অবশ্য দুর্যোগের ভয়াবহতা টের পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই বিদেশের সাহায্য নেয়ার পথ খুলে দেয় ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু উদ্ধার ও ত্রাণকাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে যে অনুমতি প্রয়োজন, তা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন বিদেশি উদ্ধারকর্মীরা।

কীভাবে কাজ করতে হবে, কীভাবে ইন্দোনেশীয় কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে, সে বিষয়ে পরস্পর বিরোধী নির্দেশনা পাওয়ার কথাও বলছেন তারা।

অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টেলিভিশন জানিয়েছে অতিরিক্ত শ্রমের ফলে ইন্দোনেশীয় উদ্ধারকর্মীরা এরই মধ্যে মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। ফলে বিদেশি কর্মীদের দেশ ছাড়ার এমন নির্দেশ তাদের আরও বিপর্যস্ত করে তুলবে।

এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।