জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৮

ভারতের বিতর্কিত ধর্ম প্রচারক এবং ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দোলাচলে রয়েছে মালয়েশিয়া। আদালতের রায়েই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার শীর্ষ স্থানীয় এক মন্ত্রী।

আর্থিক প্রতারণা ও সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এড়াতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ভারত ছাড়েন জাকির নায়েক। গত জানুয়ারি মাসে জাকির নায়েককে ভারতে পাঠানোর আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় দিল্লি।

সম্প্রতি ভারত সফরে এসে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলা সেগারান জানান, কিছুদিন আগে এক বৈঠকে তার কাছে জাকির নায়েককে ফেরত পাঠানোর আবেদন জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। পিটিআইকে তিনি জানান, জাকির নায়েকের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে উনি খোঁজ নিচ্ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হবে কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানানো হয়েছে।

সেগারান আরও জানান, জাকির নায়েকের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকার আদালতের সিদ্ধান্তের উপরেও ছাড়তে পারে। তিনি বলেন, যদি সরকার তাকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমাদের দিক থেকে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদিও আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন তিনি। কিন্তু যদি সরকার তাকে ফেরাতে না চায়, সেক্ষেত্রে বিষয়টি আদালতে পাঠিয়ে রায়ের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

এদিকে, গত জুলাই মাসে মালয়েশিয়ার সংবাদপত্রে জাকির নায়েকের যে বিবৃতি প্রকাশিত হয়, তাতে তিনি সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মহাথির মোহাম্মদকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য ধন্যবাদ জানান। স্বয়ং মহাথিরও জুলাই মাসে মন্তব্য করেন যে, মালয়েশিয়ায় নতুন কোনও সমস্যা সৃষ্টি না করলে জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে না। পূর্বতন মালয়েশীয় সরকার অবশ্য জাকির নায়েককে স্থায়ী নাগরিকের মর্যাদা দিয়েছিল।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।