খুন হতে পারেন মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া ৭ রোহিঙ্গা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আসাম থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সাত রোহিঙ্গা শিগগিরই খুন হতে পারেন বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া অন্যান্য রোহিঙ্গারা এই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

দেশটির সরকারের অনুরোধ জানিয়ে রোহিঙ্গারা বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যেন তাদের ভারতে থাকতে দেয়া হয়।

মোহাম্মদ ফারুক নামের এক রোহিঙ্গা ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি ভারতে আশ্রয় নিয়েছি। ভারত সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ এদেশে থাকতে দিন। নিজ দেশে ইতোমধ্যে আমরা অনেক প্রতিকূলতার মোকাবিলা করেছি। কেউ তার নিজের দেশ ছাড়তে চায় না, আমরা ছাড়িনি। পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) বিরুদ্ধে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী।

রাখাইন সীমান্তে এক ডজনের বেশি পুলিশি নিরাপত্তা তল্লাশি চৌকিতে আরসার হামলায় হতাহতের ঘটনার পর অভিযান শুরু হয়। অভিযানে এখন পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম রাখাইন ছেড়ে প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেশি ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আসামে আশ্রয় নেয়া সাত রোহিঙ্গাকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। অবৈধভাবে বসবাসকারী ওই সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ।

তবে সেই মামলায় রায় খারিজ করে দেন দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কৌল এবং কে এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এই ৭ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের গণ-পলায়ন ও তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংসের ঘটনায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। তবে মিয়ানমার সরকার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে তারা।

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।