ভারতে পুতিন : মার্কিন হুমকি সত্ত্বেও কেন রাশিয়ায় ঝুঁকছেন মোদি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৭ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

দুই দিনের সফরে ভারতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। ভারতের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা সত্ত্বেও এই বৈঠকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের মস্কো-নয়াদিল্লি অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর হবে। রাশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার লক্ষ্যে দুই দেশের মাঝে এই চুক্তি হবে।

চীনের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত বরাবর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর করার লক্ষ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে দূরপাল্লার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনছে নয়াদিল্লি। দেশটির নৌবাহিনীর শীর্ষ দুই কর্মকর্তা বলেছেন, নৌবাহিনীর জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলারের ক্রিভ্যাক বা তলওয়ার স্টিলথ রণতরী কেনার চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

এছাড়া আরো ৩৯ হাজার কোটি রূপিতে রাশিয়ার উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কেনার চুক্তিও হবে। অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম।

আরও পড়ুন : মধ্যপ্রাচ্যের তিন মোড়লের নজর বাহরাইনে

চুক্তির পাশাপাশি ইরানি তেল আমদানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এ দুই রাষ্ট্র নেতা।

তবে রাশিয়ার কাছে থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার লক্ষ্যে যদি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় তাহলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে ভারত।

কেননা গত আগস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ কিনলে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

কিন্তু মার্কিন এই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি করতে যাচ্ছে ভারত। ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে রুশ অস্ত্রের যোগান ঠেকাতে বিশেষ আইন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেসব দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনবে, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তাদের ‘একঘরে’ করার কথা বলা আছে এই আইনে।

আরও পড়ুন : এক বোতল হুইস্কির দাম সোয়া ৯ কোটি টাকা!

এই আইনে চীনের বিরুদ্ধে আর্থিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই বিমান কেনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরাগভাজন হয়েছিল বেইজিং।

কিন্তু আমেরিকার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে কথাবার্তা এগিয়ে নেয় ভারত। এ নিয়ে একপ্রস্থ কথাও হয় দু’দেশের মধ্যে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র : এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।