৭ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে আসাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৪ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৮

আসামের একটি বন্দিশিবিরে থাকা সাত রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ওই রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভারতে থাকার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় তাদের আসাম থেকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

আসামে থাকা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে এটাই সরকারের প্রথম পদক্ষেপ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতি গ্রহণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা ভারতের নাগরিক নন। তারা অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের নাগরিক হিসেবে মিয়ানমারকেই গ্রহণ করতে হবে।

ওই সাত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের দায়ে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ২০১২ সাল থেকে ভারতের একটি বন্দিশিবিরে ছিলেন। তবে ভারতের এ সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

যেখানে মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিক পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে ভারতের এমন পদক্ষেপ জাতিসংঘের সমালোচনার মুখে পড়েছে। বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে ভারত।

জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক তেন্ডাই আচিউইম বলেন, শরণার্থীদের জোর করে ওই দেশেই ফের পাঠানো তাদের সুরক্ষা করার অধিকারকে অস্বীকার করে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মতে, রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতকে মিয়ানমারের উপর প্রভাব খাটাতে হবে। রোহিঙ্গারা বর্তমান পরিস্থিতিতে সহজেই ওখানে ফিরতে চাইবেন না। কারণ তারা ভয় পাবে। ওখানে এখন যা অবস্থা তাতে সম্মানের জীবন নিয়ে বাঁচতে পারবেন না তারা।

ওই সাত রোহিঙ্গা কেন্দ্রীয় রাখাইন রাজ্যের নাগরিক। তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তারের উদ্দেশে বুধবার বাসে করে সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের শীর্ষ আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, এই রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্রের সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে মিয়ানমার দূতাবাস।

গতকাল শপথ নেয়া ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, প্রথমত তারা মিয়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকৃত। এ বিষয়ে আমরা কি বলতে পারি?

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।