ধরা পড়ার ভয়ে মোবাইল গিলে ফেলল বন্দী
কারার অভ্যন্তরে চলছিল তল্লাশি। এ সময় লুকিয়ে ফোনে কথা বলছিলেন এক বন্দী। দূর থেকে বিষয়টি লক্ষ্য করতেই কারা পুলিশ সদস্যরা তার দিকে ছুটে যান। তল্লাশি চালানো হয় বন্দীর শরীরে। তবে অবাক করার বিষয় হলো এ সময় তার কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। পরে এক্স-রে করে তার পাকস্থলিতে মোবাইল ফোনটি ধরা পড়ে।
ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সোমবার দুপুরে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কারাগারের অভ্যন্তরে আচমকা তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি টিমের সদস্যেরা গোটা কারাগার, ওয়ার্ড ঘুরে পরীক্ষা করছিলেন। সে সময় টিমের এক সদস্যের নজরে আসে এক বন্দী ওয়ার্ডের কোণায় লুকিয়ে কানের কাছে হাত নিয়ে কথা বলছেন। হাতের মুঠোর মধ্যে মোবাইল ফোনের মতো ছোট আকারের বস্তু। টিমের সদস্যেরা সেদিকে এগোতেই পালানোর চেষ্টা করেন রামচন্দ্র বোগাপ্পা নামের ওই বন্দী।
তার দিকে এগোতেই তিন ইঞ্চির মাপের চাইনিজ মোবাইলটিকে চোখের নিমেষে উধাও করে দেন তিনি। তার শরীর তল্লাশি করে মোবাইল ফোন খুঁজে পাননি টিমের সদস্যেরা। শেষে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিতে হয় রামচন্দ্রকে।
কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকেলের দিকে পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় রামচন্দ্রের। তাকে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে এক্স-রে করে ধরা পড়ে মোবাইল ফোনটি পাকস্থলির নিচের অংশে আটকে রয়েছে। ঘণ্টাখানেক পর্যবেক্ষণে রেখে সন্ধ্যায় তাকে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়। রাতে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়।
রামচন্দ্র জানিয়েছেন, ধরা পড়ার ভয়ে তিনি ফোনটি গিলে ফেলেছিলেন।
ছিনতাই, ডাকাতির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রায় বছরখানেক কারাগারে বিচারাধীন বন্দী হিসেবে রয়েছেন ভিনরাজ্যের বাসিন্দা রামচন্দ্র। অভিযোগ রয়েছে, তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে গোপনে মোবাইল ফোনে কথা বলতেন।
এসআর/পিআর