জোরে গান শুনতে বারণ করায় মাকে কুপিয়ে খুন
সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গান শুনছিল ছেলে। বাবা ভলিউমটা কমিয়ে দিতে বলেছিলেন। এতেই ক্ষেপে যায় ছেলে। ধারালো অন্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে বাবাকে। স্বামীর চিৎকার শুনে এগিয়ে আসে স্ত্রী। তাকেও আঘাত করে বসে ছেলে। এতে ডলি কোটাল নামের ওই গৃহবধূ নিহত হন। তার স্বামী মুরারীবাবুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ডুমুর গ্রামে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনা কোটাল। তার বয়স মাত্র ১৭ বছর। অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম মুরারীবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে মনা। ঘরে ঢুকেই উচ্চ ভলিউমে সাউন্ড বক্স চালিয়ে গান শুনতে থাকে সে। এত জোরে না শুনে সাউন্ড বক্সের ভলিউম কম করতে বলেন বাবা মুরারীবাবু। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তীব্র বচসা হয়। অভিযোগ, এ সময় আচমকা ঘর থেকে একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে মুরারীবাবুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মনা। তাকে এলোপাথাড়ি কোপ দিতে শুরু করে। স্বামীর চিৎকার শুনে রান্নাঘর থেকে ছুটে আসেন ডলিদেবী। তিনি ছেলেকে বাধা দিতে এগিয়ে যান। এ সময় বাবাকে ছেড়ে মায়ের উপরে চড়াও হয় মনা। তার গায়ে ও হাতে সবমিলিয়ে ৫-৬টি কোপ মারে মনা।
দম্পতির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে মনাকে রক্তাক্ত অস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তারাই মনাকে আটক করে ও ওই দম্পতিকে গুরুতর জখম অবস্থায় পিংলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ডলিদেবীকে মৃত ঘোষণা করেন। মুরারীবাবুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
প্রতিবেশীরা বলছেন, বাবা-মা দিনরাত কাজ করে সংসার চালাতেন। অন্যদিকে ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেশা করে বেড়াতো। আনন্দবাজার
এসআর/জেআইএম