ইন্টারনেট মহাভারতের পর মোদির ভাইকে নিয়ে বিপ্লবের নতুন মন্তব্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৫ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৮

ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট, মহাভারত, গৌতম বুদ্ধ, ডায়ানা হেডেন, হাঁস নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনার মুখে পড়েন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই ও মাকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন তিনি।

ত্রিপুরার এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক ভাই অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর এক ভাই মুদিখানার দোকান পরিচালনা করেন।

এখানেই শেষ নয়। নরেন্দ্র মোদি কতটা সাধারণ তা বুঝাতে গিয়ে বিপ্লব বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির বৃদ্ধা মা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে থাকেন না। তিনি থাকেন ১০/১২-এর একটি ঘরে। মোদি ১৩ বছর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।... কিন্তু এখনও তার ভাইয়েরা ড্রাইভারি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।’

এর পরই বিপ্লবের প্রশ্ন, ‘আমাকে বলুন তো বিশ্বের কোন প্রধানমন্ত্রীকে এভাবে দেখেছেন।’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দু'বছর পূর্তি উপলক্ষে আগরতলায় একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শনিবার এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এখনও এক বছর কাটেনি বিজেপির বিপ্লবকুমার দেব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু এরই মধ্যে একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন।

আরও পড়ুন : গার্লফ্রেন্ড চায় যৌন সম্পর্ক, রাজি নয় বয়ফ্রেন্ড, অতঃপর...

প্রথমে বলেছিলেন, মহাভারতের যুগে, সেই প্রাচীন ভারতেও ইন্টারনেট আর কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যবহার ভারতীয়রা জানতেন। তার পর বিপ্লব-বচন ছিল, গৌতম বুদ্ধ সমুদ্রের ওপর দিয়ে হেঁটে জাপানে গিয়েছিলেন। তার পর বিপ্লব বলেছিলেন, ‘মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার কোনও যোগ্যতাই ছিল না ডায়ানা হেডেনের।’

মাস কয়েক আগেই বিপ্লব বলেন, ‘হাঁস জলে সাঁতার কাটলে পুকুর, ঝিলে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। সেই বাড়তি অক্সিজেনটা জলজ প্রাণীদের কাজে লাগে। মাছ শ্বাসের জন্য আরও অক্সিজেন পায়। পুকুর, ঝিলে পাখিদের ত্যাগ করা মল-মূত্র থেকেও উপকার হয় মাছ-সহ জলজ প্রাণীর। এতে একেবারে প্রাকৃতিক নিয়মেই মাছ দ্রুত বাড়ে।’ সেই তালিকায় যোগ হল বিপ্লবের নতুন বচন। আনন্দবাজার।

এসআইএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।