পুলিশের গুলিতে অ্যাপল কর্মকর্তা নিহত
ভারতের লক্ষ্ণৌর গোমতীনগর এলাকায় গাড়ি না থামানোর অভিযোগে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা অ্যাপলের এরিয়া ম্যানেজার বিবেক কুমারকে (৩৮) গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। শনিবার গভীর এ ঘটনা ঘটে।
বিবেকের সহকর্মী তথা গাড়িতে থাকা সানা খানের এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
পুলিশের দাবি, তখন রাত দেড়টা। দ্রুতগতিতে এসইউভি চালিয়ে যাচ্ছিলেন অ্যাপলের এক্সিকিউটিভ বিবেক কুমার। সঙ্গী নারী সহকর্মী সানা খান। গোমতীনগরে তখন টহল দিচ্ছিলেন কনস্টেবল প্রশান্ত চৌধুরী ও সন্দীপ কুমার। সন্দেহজনক কার্যকলাপের জন্য তারা গাড়িটিকে থামাতে গেলে টহলরত দুই কনস্টেবলের মোটরবাইকে ধাক্কা মারেন বিবেক। জখম হন প্রশান্ত ও সন্দীপ। তখনই ‘নিজের প্রাণ বাঁচাতে’ বিবেককে লক্ষ্য করে গুলি করেন প্রশান্ত। গালের মধ্যে দিয়ে বুলেট ঢুকে ঘাড় ও মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তে বিবেকের বুলেটবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুই প্রমাণিত হয়েছে।
গাড়ি না থামানোয় চালককে গুলি করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় বয়ে গেছে।
সানার এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিং।
এদিকে সিনিয়র পুলিশ সুপার কলানিধি নৈথানি বলেন, কর্তব্যরত ওই দুই কনস্টেবল বিবকের গাড়ি থামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু না থামিয়ে কনস্টেবলদের বাইকে ধাক্কা মারেন অ্যাপলকর্তা। এমনকী, বিবেক প্রশান্তদের চাপা দেয়ারও চেষ্টা করে বলে জানিয়েছেন কলানিধি।
যদিও সানা বলছেন, আমরা বুঝতে পারিনি যে পুলিশ আমাদের থামতে বলছে। আমরা যখন ওদের কাটিয়ে বেরিয়ে যেতে চাই, তখন গাড়িটি পুলিশের বাইকে ধাক্কা মারে। একজনের হাতে লাঠি থাকলেও অন্যজন রিভলভার বের করে গুলি চালিয়ে দেয়।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও ঘটনাকে ‘এনকাউন্টার’ বলতে নারাজ। তিনি বলেন, দোষী কখনই ছাড়া পাবে না। প্রয়োজনে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের উপর দেওয়া হবে।
এনডিএস/এমএস