‘মায়ের পাশে ভাসছে শিশুর মরদেহ’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নৌকায় করে সমুদ্রপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় নৌকাডুবি। গত কয়েক বছরে ভূমধ্যসাগরের নিয়মিত একটি দৃশ্য। এমনই এক নৌকাডুবির ঘটনায় লিবিয়ার কোস্ট গার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজের দিকে সাঁতার কেটে আসছিলেন কয়েকজন। তাদের সাহস যোগাচ্ছিলেন জাহাজে থাকা কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। খবর বিবিসি।

এ যাত্রায় তিনজন বেঁচে গেছেন। একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় জাহাজে তুলে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দিতে হয়েছে। এমন ঘটনা সম্পর্কে লিবিয়ার কোস্ট গার্ড এর হেড অফ অপারেশন্স কর্নেল আবু আবদেলবারি বলেন, তারা কঠিন সময় পার করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। চোখের সামনে অভিবাসীদের নৌকা ডুবে যাচ্ছে। এমনও দেখেছি যে, মায়ের পাশেই তার মৃত শিশুর মরদেহ ভাসছে।’

Europe-2

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কড়াকড়ির কারণে সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র পথে ইউরোপে যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা কমলেও সমুদ্রে নৌকাডুবিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা বলছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত এ পথে পার হতে যাওয়া অভিবাসীদের প্রতি ১৮ জনের মধ্যে অন্তত একজন ডুবে মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।

২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রতি ৪২ জনে একজন। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথ আগের থেকে আরো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমুদ্র পথে আসা এসব অভিবাসীদের সহায়তা দিয়ে থাকে এমন উদ্ধারকারী সংস্থার উপর ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় এ সংখ্যা আরো বেড়েছে। এমনকি এমন সংস্থার জাহাজের নিবন্ধন পর্যন্ত বাতিল করছে কর্তৃপক্ষ।

লিবিয়ার কোস্ট গার্ডরা বলছে, এসব উদ্ধারকারী সংস্থার কার্যক্রম অভিবাসীদের বরং উৎসাহিত করে। কর্নেল আবু আবদেলবারি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য পাচারকারীদের ঠেকানো।

তিনি বলেন, ‘যেসব অভিবাসীরা একটা ভালো জীবনের খোঁজে এপথে আসছেন, আমরা তো তাদের বিরুদ্ধে কিছু করছি না। আমরা কাজ করছি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে। যারা টাকা পয়সা নিয়ে এসব মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষগুলো বাঁচল না মরে গেলো এটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।’

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।