নর মাংস খাদক ভয়ঙ্কর এক নারীর গল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

টাকা পয়সার অভাব নেই। চাইলেই ভালো হোটেলে ঢুকে খেতে পারে ইচ্ছে মতো খাবার। কিন্তু এসব খাবার যে তাদের তৃপ্ত করতে পারে না। তাদের দরকার মানুষের মাংস। ওটা পেলেই তাদের সব ক্ষিদে মিটে যায়। তাই মানুষ খুন করে সে খাবার খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে। নিজের স্বামীকেও ভাগ দেয় সে মাংসের। রাশিয়ান এই নর মাংস খাদক নারীকে নিয়ে শুরু হয়েছে হৈচৈ।

নরখাদক ওই নারীর নাম নাটালিয়া বকশিবা (৪৩)। তার স্বামী দিমিত্রি বকশিবা (৩৫)। গত বছর খুনি সন্দেহে এই দম্পতির বাড়িতে হানা দিয়ে সেদ্ধ নর মাংস উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের ফ্রিজে খুঁজে পায় কাঁচা মাংস। এ ছাড়াও রান্নাঘরে কাচের বয়ামের মধ্যে টুকরো টুকরো নর মাংস উদ্ধার হলে তাদের গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে।

সম্প্রতি ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর সব তথ্য। তদন্তে জানা যায়, গত বছর অক্টোবরে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে খুন করে তাদের মাংস খেয়েছেন ওই নারী। তার শেষ শিকার ছিল ৩৫ বছরের এক হোটেলকর্মী নারী। তার স্বামী দিমিত্রির সঙ্গে হোটেলে ওই নারীকে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। স্বামীকে নিয়ে এবার ওই নারীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।

Women-2

স্ত্রীর কথা মতো ওই নারীকে নির্জন জায়গায় ডেকে পাঠায় তার স্বামী দিমিত্রি বকশিবা। এরপর পরিকল্পনা মাফিক ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই নারীর। এরপর তার দেহ টুকরো টকুরো করে কেটে ব্যাগে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই নারীর টুকরো করা মাংসই ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, মানসিক কোনও রোগ নেই ওই নারীর। ঠান্ডা মাথায় খুনগুলো করেছে সে। স্ত্রীর অপরাধে সামিল হলেও দিমিত্রি একটু ভীতু প্রকৃতির। কিন্তু এমন জাদরেল বউয়ের কবলে পড়ে বাধ্য হয়ে অনেক কিছু করতে হয়েছে তাকে। ওই নারী জোর করে তার স্বামীকে দিয়ে খুন করিয়েছে।

আদালতে এই মামলার শুনানি চলছে। ওই নারীর ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া স্বামী দিমিত্রির যক্ষ্মা ধরা পড়ায় তার মামলার শুনানি হতে বিলম্ব হচ্ছে। সুস্থ্ হয়ে উঠলে তার মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানায় পুলিশ।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।