দলের মধ্যেও কোণঠাসা মের্কেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১২ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে বার বার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার পর এবার নিজের দলের মধ্যেও জোরালো ধাক্কা খেলেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ফলে তিনি আর কতকাল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে।

আঙ্গেলা মের্কেলের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে চতুর্থবার শপথ নিতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অবশেষে মহাজোট সরকার গঠন করা সম্ভব বলেও বার বার তার কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের প্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার সরাসরি তাকে চ্যালেঞ্জ করে চলেছেন।

অন্য শরিক এসপিডি দল ইউনিয়ন শিবিরের ‘অরাজকতা' তুলে ধরে জোট ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। ফলে জোট সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে। মাত্র এক বছরের মধ্যে এই সরকারের ভাবমূর্তির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। চ্যান্সেলর হিসেবে মের্কেল কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছেন, সে বিষয়ে নিয়েও আলোচনা চলছে। সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকটের ফলে তার কর্তৃত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

জোট সরকারের মধ্যে এমন দুরবস্থা সত্ত্বেও সিডিইউ দলের নেত্রী হিসেবে মের্কেল এতদিন অন্তত প্রকাশ্যে কোনো বিরোধিতার মুখে পড়েননি। মঙ্গলবার সেই অঘটনও ঘটলো। সিডিইউ ও সিএসইউ সংসদীয় জোটের নেতা হিসেবে বিদায় নিতে হলো ফল্কার কাউডারকেভকে। গত ১৩ বছর ধরে মের্কেলের ছায়াসঙ্গী হিসেবে তিনি আস্থা অর্জন করেছিলেন।

ম্যার্কেলের নানা সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নির্বাচনের আগে মের্কেল সংসদ সদস্যদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, দলের নেতা ও চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি আবার কাউডারকে সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে পেতে চান। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তার সেই ইচ্ছা সরাসরি অমান্য করে অখ্যাত এক প্রতিদ্বন্দ্বীকে সেই পদে বেছে নিলেন। এই ঘটনাকে মের্কেলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকি এর ফলে মের্কেলের পতনের প্রক্রিয়া শুরু হলো বলেও মনে করছেন অনেকেই।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।