ট্রেনে পা ছড়িয়ে বসায়...

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাসে বা ট্রেনে পুরুষদের পা ছড়িয়ে বসার দৃশ্য অতি সাধারণ একটা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিষয়টা যতটা দৃষ্টিকটূ, তার চেয়ে যেন বেশি বিরক্তিকর। এ দৃশ্য কেউ চোখ বুজে মেনে নেন। আবার কেউ হয়তো একটু-আধটু প্রতিবাদ করেন। তবে এ বিষয়টির অভিনব প্রতিবাদ করেছেন এক নারী। রীতিমতো বেশ কয়েকজন পুরুষের কুঁচকিতে পানি ঢেলে দিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার সেন্টস পিটাসবার্গ মেট্রোরেলে।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক খবরে বলা হয়, ওই নারীর নাম আনা ডোভগালিউক (২০)। তিনি একজন আইনের ছাত্রী ও সক্রিয় নারী অধিকার কর্মী। পাবলিক পরিবহনে পুরুষদের এভাবে বসাকে তিনি মেনে নিতে পানেনি। এজন্য তিনি এক অদ্ভুত পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনামাফিক তিনি ৩০ লিটার পানির সঙ্গে ৬ লিটার ব্লিচিং পাউডার মেশান। পরে এই মিশ্রিত পানি মেট্রোরেলের ওইসব পুরুষদের কুঁচকিতে ঢেলে দেন, যারা পা ছড়িয়ে জায়গা নিয়ে বসে ছিলেন। তার মতে, পাবলিক পরিবহনে এভাবে বসা আপত্তিকর।

আনা ডোভগালিউক জানান, বাড়িতে কাপড় পরিষ্কারের সময় গৃহিণীরা পানিতে পাউডারের যে মিশ্রণ তৈরি করেন, এই মিশ্রণ ওই তুলনায় ৩০ গুণ বেশি ঘন। এই মিশ্রণ কয়েক মিনিটের মধ্যেই কাপড়ের রঙ পরিবর্তন করে দিতে সক্ষম।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সারাবিশ্ব যখন এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে, তখন রাশিয়ায় এ ধরনের বসার ভঙ্গি বেড়েই চলেছে।

ডেইলি মেইল বলছে, আনা মেট্রোরেলে পা ছড়িয়ে বসার বিষয়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলেও তার অনুষদের একটি প্রোগ্রামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এভাবে বসে ছিলেন, তবে তখন তিনি নীরব ছিলেন।

আনা পানি ঢালার ভিডিওটি সেইসব পুরুষদের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন, যারা প্রকাশে আপত্তিকর অবস্থায় পা ছড়িয়ে বসে। তিনি বলেছেন-এর মাধ্যমে তারা শিখতে পারবে প্রকাশ্যে তাদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গি কেমন হওয়া দরকার।

এর আগে রাশিয়ার আপ-স্কার্টিং আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে রাজপথে আন্ডারওয়্যার দেখিয়ে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন এই নারী অধিকার কর্মী।

তবে মেট্রোরেলে প্রকাশ্যে এভাবে কুঁচকিতে পানি ঢেলে দেয়ায় বেশ অস্বস্তিতে পড়তে দেখা গেছে পুরুষ যাত্রীদের।

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।