`লালে লাল শাহজালাল` স্লোগানে মুখর সিলেট
নামাজ শেষ হতেই বেজে ওঠে নাকাড়া। হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের `শাহজালাল বাবা কী জয়`, `৩৬০ আউলিয়া কী জয়` `লালে লাল শাহজালাল` `নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবার` স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগা প্রাঙ্গন।
প্রতি বছর ২৬ শাওয়াল জোহর নামাজ শেষে নাঙ্গা তলোয়ার, দা-কুড়াল ও লাল-ঝাণ্ডা হাতে হাজার মানুষের দীর্ঘ মিছিল ছুটে চলে `লাকড়ি তোড়া উৎসবে`।
বুধবার বিকেলে দরগাহ থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে লাক্কাতুরা ও মালনিছড়া চা-বাগানের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত একটি টিলার জঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করেন তারা।
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহে বার্ষিক ওরস উপলক্ষে লৌকিক উৎসব `লাকড়ি তোড়া` প্রতিবছর দরগাহের বার্ষিক ওরসের তিন সপ্তাহ আগে- প্রায় ৭০০ বছর ধরে প্রচলিত লাকড়ি সংগ্রহের এ উৎসব পালিত হয়।
দুপুর থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.) হাজারো ভক্ত লাল কাপড় মাথায় বেঁধে ও লাল পতাকা হাতে দরগাহ শরীফে সমবেত হয়ে জোহরের নামাজের পরে মিছিল সহকারে লাকড়ি সংগ্রহে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের পর লাকড়ি নিয়ে দরগাহ শরীফে ফিরে আসেন।
দরগাহর মোতাওয়ালি ফতেহ উলাহ আল আমান জাগো নিউজকে জানান, শাহজালাল (রহ.) এর জীবদ্দশায় এভাবে লাকড়ি সংগ্রহ করে রান্না করা হতো। সেই ঐতিহ্য রক্ষা করে ৭০০ বছর ধরে ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি তোড়া সম্পন্ন হয়ে আসছে। এসব সংগ্রহ করা লাকড়ি নির্দিষ্ট স্থানে জমা করে রাখা হয়। আর এসব লাকড়ি দিয়েই ওরসে শিরনির রান্না করা হয়ে থাকে।
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি