লাদাখ-মানালিতে আটকা পড়েছেন বহু পর্যটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পাহাড়ে ঘেরা দুর্গম এলাকা। ভূমিধস, বৃষ্টি, তুষারপাত লেগেই থাকে। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের জন্য লাদাখ পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অক্টোবর পর্যন্ত আবহাওয়া ভালোই থাকে। তারপর দুর্যোগের কারণে রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটলো। হিমাচল প্রদেশই শুধু নয়, সেপ্টেম্বরেই তীব্র বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরের লাদাখও। আটকা পড়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক ও অভিযাত্রী। বৃষ্টি বন্যায় এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

হিমালয়ের কোলে লে ও লাদাখ উপত্যকা যতটা দুর্গম, তার থেকে বেশি আকর্ষণীয় ওই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। তাই হাজারো প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে সেখানে ছুটে যান পর্যটক ও পরিবেশপ্রেমীরা। আর যারা অ্যাডভেঞ্চচার পছন্দ করেন তাদের কাছে তো লে ও লাদাখের আকর্ষণ আরও বেশি।

লে থেকে হিমাচল প্রদেশের মানালি যাওয়ার রাস্তায় পড়ে একাধিক সুউচ্চ পাস। কোনটারই উচ্চতা ৪ হাজার মিটারের কম নয়। সাইকেল চালিয়ে এই পাসগুলো অতিক্রম করেন সাইক্লিস্টরা। ট্রেকিং করতে যান অনেকেই। সাইকেল চালিয়ে লাদাখ ও লে উপত্যকা পরিক্রমা করতে চেয়েছিলেন অনির্বাণ আচার্য নামের এক পর্যটক।

তিনি জানান, নির্দিষ্ট রুটের ৯৫ শতাংশ পথ ঘোরা হয়ে গেছে। প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগে লে উপত্যকার কাছে আটকা পড়েছেন তার মতো অনেকেই। লে উপত্যকা থেকে মানালি যাওয়ার জাতীয় সড়কও বন্ধ রয়েছে। যারা সেখানে আটকা পড়েছেন তাদের বেশিরভাগই বাঙালি।

কাজের সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে লাদাখে রয়েছেন বাঙালি তরুণ অর্ণব ঘোষ। তিনি জানান, সাধারণত ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত লাদাখের আবহাওয়া ভালই থাকে। পর্যটক কিংবা অ্যাডভেঞ্চার স্পোটর্সে অংশ নিতে যারা আসেন, তাদের বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হয় না।

তুষারপাত যে একেবারেই হয় না, তা নয়। তবে রাস্তা পরিষ্কার করতেও বেশি সময় লাগে না। অর্ণবের দাবি, গত পাঁচ বছরে সেপ্টেম্বরে লাদাখে এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখেনি কেউ।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।