যুক্তরাষ্ট্রের হাতেও রোহিঙ্গা হত্যা-ধর্ষণের প্রমাণ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনী পরিকল্পিত সহিংসতা চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ব্যাপক হারে হত্যা ও ধর্ষণে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পরিকল্পিত সহিংসতা চালানোর যথেষ্ঠ প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য ১৮৫ মিলিয়ন ডলারের নতুন ফান্ড ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণার পরেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিকল্পিত সহিংসতার অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত এপ্রিলে ১ হাজার ২৪ জন রোহিঙ্গার কাছ থেকে সাক্ষাতকার গ্রহণের ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে তারা প্রাপ্তবয়স্ক। বাংলাদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন তারা।
এর আগে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী জাতিগত নিধন চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। তবে মার্কিন প্রতিবেদনে গণহত্যা এবং জাতিগত নিধন শব্দটি এড়িয়ে চলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অব ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপ করে দেখা গেছে যে, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ব্যাপকহারে এবং বৃহৎ পরিসরে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা চালানো হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনের বেশ কয়েকটি সেনা ও পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাখাইনে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। অভিযানের নামে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
মার্কিন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ওই অপারেশন দেখে বোঝা যায় যে, এটা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং সমন্বিত। সেখানে আরও বলা হয়েছে, সাক্ষাতকার নেয়া ৮২ শতাংশ রোহিঙ্গাই ব্যক্তিগতভাবে হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। অপরদিকে, ৫১ শতাংশ যৌন সহিংসতার ঘটনার সাক্ষী।
টিটিএন/পিআর