‘উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত নিপীড়ন চালাচ্ছে চীন’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চীনের স্বায়ত্বশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘পদ্ধতিগত নিপীড়ন’ বন্ধ করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া জোরপূর্বক জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে আটক উইঘুর সম্প্রদায়ের দশ লাখ মুসলিমকে মুক্ত করে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

চীনের বাইরে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের একশ’র বেশি আত্মীয় স্বজনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে রোববার রাতে সংস্থাটি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাদের স্বজনদেরকে ‘জুয়ার’ নামে পরিচিত জিনজিয়াংয়ের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি অঞ্চলে রি-এডুকেশন ক্যাম্পগুলোতে আটক করে রাখা হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নির্যাতনের পাশাপাশি জোরপূর্বক নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

দেশটির জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীন সরকারের বিদ্বেষপূর্ণ অভিযান বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বিভিন্ন অান্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব-এশিয়া বিষয়ক পরিচালক নিকোলাস বেকুলিন বলেন, জুয়ারে যে অমানবিক নির্যাতন চলছে তার জন্য চীন সরকারকে দায়ী করতে গোটা বিশ্বকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগে চীনের উইঘুর সম্প্রদায় অধিকারের ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা করেন রিপাবলিকান বেশ কয়েকজন সদস্য। মার্কিন কংগ্রেসের অন্তত চারজন সদস্য জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগে চীন সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ট্রাম্প প্রশাসনের আহ্বান জানান।

এছাড়া জুয়ার অঞ্চলে যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলেন তারা।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর যে জাতিগত নিপীড়ন চালানো হচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সম্ভবত দশ লাখ উইঘুর মুসলিম তথাকথিত রি-এডুকেশন ক্যাম্পে নিজেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক আছেন। যেখানে তাদেরকে জোর করে নানান রাজনৈতিক দীক্ষাদান ছাড়াও বিভিন্ন নির্যাতনের স্বীকার হতে হচ্ছে।

সূত্র : ইউএসএ ট্যুডে।

এসএ/এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।