স্বামী ‘কুৎসিত’, তাই চুমুর সময় জিহ্বা কামড়ে ছিঁড়লেন স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

স্বামী দেখতে ‘কুৎসিত।’ তার ওপর গায়ক স্বামী ছিলেন বাউন্ডুলে। তার স্বভাব পছন্দ করতেন না স্ত্রী। এ নিয়ে নিয়মিতই ঝগড়া হত দু'জনের মধ্যে। এমনকি ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও তাদের ঝগড়া থেমে থাকেনি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা একসময় শেষও হয়ে যায়। কিন্তু এই নারী তার স্বামীর সঙ্গে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন যা শুনলে যে কারো গা শিউরে উঠবে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ২২ বছর বয়সী ওই নারীর নাম কাজল। শনিবার বিকেলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একতরফা ঝগড়া হয়। এরপর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান তার স্বামী করণ। রাতে বাড়িতে ফিরলে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া চলাকালীন স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন করণ। এ সময় তার স্ত্রীও চুুমু খেতে বাঁধা দেননি তাকে। কিন্তু হঠাৎ প্রচণ্ড জোরে স্বামীর জিহ্বা কামড়ে প্রায় অর্ধেকটা ছিড়ে নিলে চিৎকার করে ওঠেন তার স্বামী।

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ন’টার দিকে হঠাৎ করণের আর্তনাদ শুনে তারা ছুটে যান। গিয়ে দেখেন প্রায় অর্ধেকটা জিহ্বা কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝে থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান তারা। পরে তার বাবা পুলিশে খবর দেন।

বর্তমানে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে প্রাণে বাঁচলেও ভবিষ্যতে আর কোনদিন কথা বলতে পারবেন কি-না তা নিয়ে সংশয় আছে।

পুলিশ বলছে, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রণহোলার বিকার নগর এলাকার করণের সঙ্গে বিয়ে হয় কাজলের। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর চেহারা নিয়ে বিদ্রুপ, উপহাস করতে শুরু করেন কাজল। এছাড়া রোজগার ও খামখেয়ালি স্বভাব নিয়েও নিয়মিত তাদের ঝগড়া লাগতো।

এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় ৩২৬ ধারায় স্বামী করণের দায়ের করা একটি মামলায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, কাজল নামের ওই নারীকে আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি। কয়েকজন প্রবীণ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তাদের দীর্ঘ কর্মজীবনে এরকম ঘটনার কথা শোনেননি তারা। আনন্দবাজার

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।