বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যবীমা চালু হলো ভারতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে ভারত। এই বীমার আওতায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। চলতি বছর স্বাধীনতা দিবসের ঘোষণায় সেপ্টেম্বরে প্রকল্প শুরুর কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছেন মোদি।

এর ফলে উপকৃত হবেন দেশের ৫০ কোটি মানুষ। মিলবে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমা। সরকারি হাসপাতালে তো বটেই, বেসরকারি হাসপাতালেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। হাসপাতালে ভর্তির আগের ও পরের খরচও এতে ধরা থাকবে।

চলতি বছরের সাধারণ বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলী ঘোষণা করেছিলেন ‘আয়ুষ্মান ভারত’ বিশ্বের সর্ববৃহত্ স্বাস্থ্য প্রকল্প। এই প্রকল্পে দেশের নাগরিকরা পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবীমার সুবিধা পাবেন। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিনে এই প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলতে শুরু করবে।

কেন্দ্রের দাবী, দেশের অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছাবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে এই প্রকল্প নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। এই প্রকল্পের টাকা দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে।

কেন্দ্র দেবে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য দেবে ৪০ শতাংশ। তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো ছাড়াও হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও জম্মু ও কাশ্মিরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ শতাংশ খরচ বহন করবে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য পুরো টাকাই দেবে কেন্দ্র। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো এই প্রকল্প চালুতে সম্মতি দিলেও অনেক রাজ্যই এখনই রাজি নয়। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। তাই আপাতত ‘আয়ুষ্মান ভারত’প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না এই রাজ্যে।

কেন্দ্রের বক্তব্য, আর্থ-সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। প্রায় ১০ কোটি পরিবারের প্রায় ৫০ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ও বয়সের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। ভবিষ্যতে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের আওতায় মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্তদেরও নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

টিটিএন/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।