মক্কা মসজিদে হামলাকারীদের মুক্তি দেয়া বিচারক যাচ্ছেন বিজেপিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভারতের হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদ বোমা বিস্ফোরণ মামলায় ‘হিন্দু’ অভিযুক্তদের মুক্তি দেয়ার পাঁচ মাস পর বিশেষ আদালতের বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিতে চলেছেন। ইতোমধ্যেই বিচারকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে বিজেপি অফিসে গিয়ে দলের সিনিয়র নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বন্ডারু দত্তাত্রেয়র সঙ্গে দেখাও করেছেন রবীন্দ্র রেড্ডি।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, প্রাক্তন বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি আনুষ্ঠানিকভাবেই বিজেপিতে যোগ দিতে তাদের অফিসে গিয়েছিলেন। কিন্তু দলের নেতারা এজন্য তাকে কিছুদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদে ২০০৭ সালের ১৮ মে জুমার নামাজ চলাকালে বোমা বিস্ফোরণে নয় জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছিলেন। ওই বোমা হামলায় জড়িত থাকার লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন দেশটির উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সাবেক সদস্য স্বামী অসীমানন্দ।

ঘটনার পর প্রথমে হায়দ্রাবাদের স্থানীয় পুলিশের তদন্ত শুরু করে। এরপর মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছিল তারা।

কিন্তু এরপর ২০১১ সালে সিবিআইয়ের কাছ থেকে মামলাটির দায়িত্বভার দেয়া হয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এনআইএ) । তারা তদন্ত শেষে মক্কা মসজিদে হামলায় ঘটনায় আরএসএসের ১০ সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

এর প্রেক্ষিতে স্বামী আসীমানন্দ ছাড়াও দেবেন্দ্র গুপ্ত, লোকেশ শর্মা, ভারত মোহনলাল রাতেশ্বর ওরফে ভারত ভাই এবং রাজেন্দ্র চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। আর বিচার চলাকালে অভিযুক্ত অপর দুজন সন্দীপ ভি ডাঙ্গে ও রামচন্দ্র কালসানগ্রা নিখোঁজ থাকেন এবং অপর অভিযুক্ত সুনিল যোশি মারা যান।

দীর্ঘ শুনানি শেষে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল অভিযুক্ত পাঁচজনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দেন বিশেষ আদালতের বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি। ওই ৫ জনই কোনও না কোনও ভাবে বিজেপি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত ছিল।

এমএমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।