ছয় বছর পর ধর্ষকের সঙ্গে দেখা, অতঃপর...
নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় তাকে। ভুলতে পারেন না জীবনে ঘটে যাওয়া ওই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি। তবে দীর্ঘ ছয় বছর পর ভয়ঙ্কর সেই ব্যক্তিটির হঠাৎ দেখা পায় ভুক্তভোগী সেই মেয়েটি এবং তার সাহসিকতায় ধরা পড়ে অপরাধী।
২০০৭ সালের আগস্টে আটলান্টার একটি সাবওয়ে স্টেশন দিয়ে যাচ্ছিল মেয়ে। তাকে ডেকে থামান তারই পরিচিত এক ব্যক্তি। লিফট দেওয়ার কথা বলে তুলে নেন গাড়িতে। কিন্তু হঠাৎই তিনি খেয়াল করেন, যে রাস্তায় যাবেন গাড়ি সেই রাস্তায় না গিয়ে একটি নির্জন পথে চলছে। পরিচিত ওই ব্যক্তিকে গাড়ি থামাতে বলেন কিন্তু গাড়ি থামিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই মেয়েকে সেখানেই রেখে চলে যায়। কোনো রকমে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু পুলিশের কাছেও যেতে পারেননি। কারণ ওই ব্যক্তির নাম জানা ছিল না। তাকে আর খুঁজেও পাওয়া যায়নি। তবে আত্মীয় ও বন্ধুদের জানিয়ে ছিলেন তিনি।
ঘটনার দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবরে মার্টা স্টেশনে ফের ওই লোকটিকে দেখতে পান মেয়েটি। ট্রেন ধরার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল সে। লোকটিকে দেখেই চিনতে পারেন, মুহূর্তের জন্য ভয় পান। কিন্তু মনে শক্তি সঞ্চয় করে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তার চিৎকারে ছুটে আসে পুলিশ এবং তার অভিযোগের ভিত্তিতে লোকটিকে গ্রেফতার করা হয়।
মার্টা পুলিশ আটলান্টা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকজন নারীকে যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি এবং ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পরে অ্যান্টনিও হোয়াইট (৫৪) নামের ওই ব্যক্তিকে আটলান্টা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আটক হওয়া ওই ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফালটুন কাউন্টির অ্যাটর্নি পল হোয়ার্ড জানিয়েছেন, জর্জিয়ার ওই ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ছয় বছর পর তাকে চিনতে পারা ওই নির্যাতনের শিকার নারী পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
আরএস/টিটিএন/আরআইপি