নওয়াজ ও তার মেয়েকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ আদালতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ এবং মেয়ে জামাইকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। নওয়াজের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডাদেশের রায় স্থগিত করেছেন আদালত। বুধবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর নওয়াজ শরীফ, তার মেয়ে এবং জামাইয়ের বিরুদ্ধে কারাদণ্ড ঘোষণা করে দুর্নীতিবিরোধী আদালত।

নওয়াজের সঙ্গে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ ও মরিয়মের স্বামী মোহাম্মদ সফদারের বিরুদ্ধে যে দণ্ডাদেশের রায় ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে যে কোনো সময় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তারা।

গত জুলাই মাসে দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অপরদিকে তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে সাত বছর ও সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য লন্ডন থেকে লাহোরে ফেরার পর বিমানবন্দরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ বলেন, বেশ কিছু অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানায় নওয়াজের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। মিনাল্লাহর নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি বেঞ্চে শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশের রায় স্থগিত করেন।

নওয়াজ শরীফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৫ লাখ ডলার জরিমানা, তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২৬ লাখ ডলার জরিমানা এবং মরিয়মের স্বামী সফদারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।

এর আগে গত এপ্রিলে নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তি পেতে এখন নওয়াজ, তার মেয়ে এবং জামাই প্রত্যেককে আদালতে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি মুচলেকা প্রদান করতে হবে।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এই শুনানির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো। দুর্নীতিবিরোধী একটি আদালতে নওয়াজ শরীফ এবং তার পরিবারের ওই দুই সদস্যের বিরুদ্ধে আরও দুই দুর্নীতিবিরোধী মামলার শুনানি চলছে।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।