বিজেপি নেতার পা ধুয়ে পানি খেলেন দলের কর্মী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিজেপি নেতার পা ধুয়ে পানি খেয়েছেন দলেরই এক কর্মী। ভারতের ঝাড়খান্ড রাজ্যের গোড্ডায় বিজেপির এক প্রচারণা সমাবেশে ওই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে বিজেপির সাংসদ নিশিকান্ত দুবে একটি ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন।

সেখানে পবন শাহ নামে এক কর্মী একটি থালা এবং পানির পাত্র নিয়ে আসেন সাংসদের কাছে। তার পা ধুয়ে দেন। মন্ত্রীও হাঁটুর কাছে প্যান্ট তুলে এগিয়ে দেন পা। একটি থালার উপর রেখে পানি ঢেলে পা ধুয়ে দেন পঙ্কজ। এরপর সেই নোংরা পানি খেয়ে নেন তিনি।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও ওই বিজেপি নেতার সাফাই, কৃষ্ণও তো সুদামার পা ধুয়ে দিয়েছিলেন। এতে অন্যায় কোথায়।

সাংসদ নিশিকান্ত এই ঘটনায় বেশ গর্ববোধ করছেন। একই সঙ্গে পবনের নামে জয়ধ্বনিও ওঠে ওই অনুষ্ঠানে। এরপর পুরো ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেন নিশিকান্ত। সঙ্গে লেখেন আবেগঘন বক্তব্য। আর তারপরেই সামাজিক মাধ্যমে তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়।

নিন্দা জানিয়েছেন রাজনৈতিক মহলের লোকজনও। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস নেতারা সাংসদের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সুধীন্দ্র ভাদোরিয়া বলেছেন, বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্য চরম সীমায় পৌঁছেছে। এই নিশিকান্ত মোদির ঘনিষ্ঠ। ক্ষমা চাওয়ার বদলে নিজেকে দেবতা মনে করছেন তিনি। মোদি-অমিত কি এই সংস্কৃতির কথাই বলেন?

কিন্তু এত সমালোচনার মুখে পড়েও ক্ষমা চাওয়া বা দুঃখ প্রকাশ করার কোনও লক্ষণ নেই নিশিকান্তের। উল্টো নিজেকে সুদামার সঙ্গেও তুলনা করেছেন তিনি। আর পবন নামে ওই কর্মীকে কৃষ্ণের সঙ্গে তুলনা করে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, কৃষ্ণ কি সুদামার পা ধুয়ে দেননি? কোনও কর্মী যদি ভালোবেসে তার পা ধুয়ে দেন, তাতে অন্যায়ের কী আছে?

এটাই অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ধৃতদের পক্ষে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির এই নেতা। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গণপিটুনিতে ধৃত চারজনের সমস্ত আইনি খরচ তিনি দেবেন। প্রশ্ন তোলেন, পুরো গ্রামের লোক পেটালেও শুধু চারজনকে কেন ধরা হবে? তাদের গরু চুরি গিয়েছিল বলেই কি?

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।