ওষুধ বহনে সতর্ক থাকতে হবে হজযাত্রীদের
আসন্ন হজ মৌসুমে ব্যক্তিগত ওষুধ বহনের ক্ষেত্রে হজযাত্রীদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রত্যেক হজ যাত্রীকে ব্যক্তিগত ওষুধ বহনের জন্য আবশ্যিকভাবে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া প্রেসক্রিপশনের বাইরে অতিরিক্ত কোন প্রকার ওষুধ সঙ্গে নেয়া যাবে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি সরকারের আইনে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঘুমের ওষুধ পরিবহন করা রাজকীয় সৌদি সরকারের আইনে অমার্জনীয় অপরাধ। ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে সর্তকর্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভিন্ন হজ এজেন্সিকে চিঠি দিয়েছেন।
চলতি বছর সরকারি পর্যায়ে ১০ হাজার ও বেসরকারি পর্যায়ে ৯১ হাজার ৭শ’ ৫৮ জন হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে সীমিত সংখ্যক হজযাত্রী থাকায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের ব্যবস্থাপনা বেসরকারি বিভিন্ন হজ এজেন্সির তুলনায় ভালো হয়ে থাকে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আরো জানান, বাংলাদেশ থেকে যত হজযাত্রী যান তাদের অধিকাংশই প্রবীণ। তারা উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত থাকেন। প্রতি বছরই তারা ব্যক্তিগতভাবে অসুখবিসুখের জন্য ওষুধ বহন করে থাকেন। হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে তাদের মাসাধিকাল মক্কা ও মদিনাতে অবস্থান করতে হয়। অনেক সময় পরিবার ও স্বজনরা ডাক্তার না দেখিয়ে কিংবা পুরোনো প্রেসক্রিপশন দেখে সঙ্গে করে অতিরিক্ত ওষুধ বিশেষ করে ঘুমের ওষুধ কিনে দেন। তাদের অনেকে ভুল করে অনেকে ইচ্ছে করে প্রেসক্রিপশন সঙ্গে দেন না।
সৌদি সরকারের নিয়মানুসারে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বহন নিষেধ। বেসরকারি বিভিন্ন হজ এজেন্সিগুলো এ বিষয়ে অধিকাংশ হজযাত্রীকে সতর্ক করেন না। ফলে সৌদি বিমানবন্দরে গিয়ে বয়স্ক হজযাত্রীদের নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। এ অবস্থা যেন না ঘটে সেজন্য হজ এজেন্সিকে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এমইউ/আরএস/এমআরআই