ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রায় মূর্তির ছবি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে গণপতির বহু বিচিত্র ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কোনোটায় স্বাভাবিক দেবমহিমায়, আবার কোনোটায় আরোপ করা হয়েছে মানবিক চরিত্রে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে ভাইরাল হয়েছে একটি নোটের ছবি। সেটিও আবার ইন্দোনেশিয়ার রুপিয়ায়। যে দেশের জনসংখ্যার ৮৭.৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার ২০ হাজার রুপিয়ার একটি নোটের ছবি নিয়ে খবর প্রকাশ হয়েছে। ১৯৯৮ সালের এ নোটে দেখা যাচ্ছে, গণেশের ছবির সঙ্গে সেখানে স্থান পেয়েছে সে দেশের লেখক ও সমাজকর্মী কি হাজার দেওয়ানতারার ছবি। নোটের অন্য পাশে রয়েছে একটি ক্লাসরুমের ছবি। সেই মুদ্রায় হিন্দু দেবতার অবয়ব স্বাভাবিকভাবেই কৌতূহল বাড়িয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তা সত্ত্বেও কেন স্থান পেলেন গণপতি? জানা গেছে, ওই ভূমিতে একদা খ্রিস্ট্রিয় ৭ম শতকে হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিশেষ উচ্চতা প্রাপ্ত হয়েছিল শৈলেন্দ্র বংশীয় রাজাদের উদ্যোগে। তৈরি হয়েছিল বোরোবুদুর স্তূপ। সারাদেশেই আজও ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্থাপত্য ও ভাস্কর্য। ইন্দোনেশিয়ার মূলধারার সংস্কৃতি থেকে যে হিন্দু দেব-দেবীরা বর্জিত হননি, তার প্রমাণ রয়ে গেছে। দেশটির বিমান সংস্থা ‘গরুড় ইন্দোনেশিয়া’-র নামেও। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর ম্যাসকটও হনুমান।

১৯৯৭ সালের দিকে বেশ কিছু এশীয় দেশের মুদ্রামান হঠাৎ হ্রাস পেতে শুরু করে। সেই সময়ে ইন্দোনেশিয়া গণপতির ছবি নোটে ছেপে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিল বলে অনেকের ধারণা। তবে এ তথ্যের কোনও ভিত্তি নেই। মনে করা হয়, ১৯৯৮ সালের এ নোটে গণপতি স্থান পেয়েছিলেন সে দেশের প্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন হিসেবেই।

আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।