সিরিয়া সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন তুরস্কের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিরীয় সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা এবং ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে দেশটি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ইদলিবে সিরিয়া এবং তার মিত্রদের বড় ধরণের হামলার আশঙ্কায় সেনা এবং অস্ত্র মোতায়েন বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় হামা প্রদেশ সংলগ্ন তুরস্কের মোরেক শহরের একটি সেনা ঘাঁটিতে এসে পৌঁছায় দেশটির সেনাবহর।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তারা হাতায় প্রদেশের একটি বেসামরিক বিমানবন্দরে সামরিক বিমানে করে বেশ কিছু সেনা নামিয়ে দেয়। যেখান থেকে তুর্কি-সিরিয়া সীমান্তের দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার। তবে ওই সেনাবহর সীমান্তের দিকে অগ্রসর হচ্ছে কিনা তা জানা যায়নি।

তুরস্কে ইতোমধ্যে ৩৫ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। দেশটির শেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ইদলিবে রাশিয়ার সেনা ও বিমানবাহিনী সমর্থিত সিরীয় সেনারা আরো হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তুরস্কের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেতিন গুরকান বলেন, আত্মরক্ষার জন্যই সীমান্তে সেনা মোতায়েন জোরদার করা হয়েছে। আর আপনারা যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন যে অস্ত্রগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর সবটাই আত্মরক্ষার উদ্দেশে। তাই আমি মনে করি না ইদলিবে সামরিক হস্তক্ষেপ কিংবা আক্রমণের উদ্দেশ্য আছে তুরস্কের।

ব্রিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ওই অঞ্চলে গত দু'সপ্তাহে সিরিয়া এবং রাশিয়ার বিমান হামলার ফলে ইতোমধ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ। সংস্থাটির অনুমান, এই প্রদেশটিতে পুরোদমে হামলা শুর হওয়ার পর থেকে ৯ লাখের মতো বেসামরিক নাগরিক বাস্তুহারা হয়ে এ অঞ্চল ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

সিরিয়া ইস্যুতে গত ৭ সেপ্টেস্বর তেহরানে ইরান, রাশিয়া এবং তুরস্কের নেতাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্ক বৈঠকে সিরিয়ার ইদলিবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া এবং ইরান। আর এরপর থেকেই এ প্রদেশটিতে আবার হামলা শুরু করে রাশিয়া। এবার সিরিয়া সীমান্তে তুরস্ক নতুন করে সেনা মোতায়েন বাড়ালো।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।