ফেসবুক মিলিয়ে দিল মা-ছেলেকে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০৬ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফেসবুকের বদৌলতে দেড় বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাকে ফিরে পেলেন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার এক বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ হাসপাতালে মা ও ছেলের দেখা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ মে মেয়ের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন উমাদেবী নামে এক নারী। সেই থেকে নিখোঁজ তিনি। এরপর বাকিটা সময় কেটে গেছে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে।

দেড় বছর আগে উমাদেবীকে বনগাঁ রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে জিআরপি পুলিশ। তার মাথায় প্রচণ্ড আঘাত থাকায় স্মৃতি ও বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাই অনেক চেষ্টা করেও তার পরিবারেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্রায় ৬ মাস আগে আচমকাই কথা বলতে শুরু করেন উমাদেবী। নতুন উদ্যমে মানসিক রোগের বিশেষজ্ঞ দ্বারা শুরু হয় তার চিকিৎসা। এরপর নিজের মুখেই নাম ও ঠিকানা জানান বছর পঞ্চাশের ওই নারী।

উমাদেবী জানান, তার এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। ছেরের নাম অপূর্ব। আর কিছুই বলতে পারেননি তিনি। এরপর খোঁজাখুঁজি শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কৃষ্ণনগর তো অনেক বড় জায়গা, ঠিকানা মিলবে কীভাবে?

নার্সরা সাহায্য নেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। ওই নারীকে দেখানো হয় যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা অপূর্ব নামে ছেলেদের। ফেসবুকে নিজের ছেলের ছবি দেখে চিনতে পারেন তিনি। আনন্দে কেঁদে ওঠেন উমাদেবী।

কিন্তু তাতেও বাধে বিপত্তি। সেই ২০১৫ সাল থেকেই ফেসবুক বন্ধ অপূর্বর। যোগাযোগের কোনো নম্বরও নেই। কিন্তু তাতেও আশা ছাড়েননি নার্সরা। অপূর্বকে ট্যাগ করে উমাদেবীর ছবি পোস্ট করা হয়।

এরপর অপূর্বর বন্ধু তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনকেও ওই ছবিতে ট্যাগ করা হয়। আর তাতেই মিলল সাড়া। খোঁজ মেলে উমা চৌধুরীর ছেলে অপূর্বর। হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে চমকে ওঠেন তিনি।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।