কেন একাধিক সন্তান, হাসপাতালে প্রসূতিকে নার্সের মারধর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৪ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

একাধিক সন্তান জন্ম দিতে যাচ্ছেন; এমন এক প্রসূতিকে ধরে মারধর করেছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স। প্রসূতি যখন প্রসব য্ন্ত্রণায় ছটফট করছেন, তখন তাকে কাঠ দিয়ে মারপিট করা হয়। বুধবার দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন রুকসানা বেগম নামের এক গৃহবধূ। হুগলি জেলার চাঁপদানির কড়াইকল এলাকার বাসিন্দা তিনি। ওই গৃহবধূর দুই সন্তান রয়েছে।

ফের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রায়ই মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। রাতে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তড়িঘড়ি করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বামী মনসুর আলি। মধ্যরাতে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য হাসপাতালে ফোনও করেছিলেন তিনি।

হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অ্যাম্বুল্যান্স দেয়া যাবে না। পরে গাড়ি ভাড়া করে স্ত্রীকে নিয়ে আসেন। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্ত্রীকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরে ওই কক্ষে কর্তব্যরত নার্স প্রসূতিকে মারধর শুরু করেন। গৃহবধূর কেন দু'তিনটি সন্তান থাকবে? এই ‘অপরাধে’ চলে মারধর। থাপ্পড়ের পাশাপাশি কাঠ দিয়ে হাতে আঘাত করা হয়। প্রসব যন্ত্রণার পাশাপাশি এই নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে ওই গৃহবধূকে।

সকালবেলা শিশুসন্তানকে দেখতে বাড়ির লোকজন এলে কান্নায় ভেঙে পড়েন রুকসানা বেগম। তার মুখে পুরো ঘটনা শুনে ক্ষিপ্ত পরিবারের লোকজন হাসপাতালের সুপারের কাছে অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত নার্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় বিক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা দাবি জানান, অভিযুক্ত নার্সের নাম জানেন না তারা। হাসপাতালের প্রত্যেক নার্সকে হাজির করার হোক। তারপর তাদের মধ্যে থেকে অভিযুক্তকে শনাক্ত করবেন রুকসানা বেগম।

ক্ষুব্ধ মনসুর আলি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর একটি, দু'টি না তিনটি সন্তান থাকবে, তাতে নার্সের কী? সন্তানদের প্রতিপালনের সামর্থ্য আমার আছে।’

এসআইএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।