এই সাজা অত্যন্ত কঠোর : ধর্ষক ধর্মগুরু আসারাম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দি ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু দণ্ড মওকুফের আবেদন করেছেন। রাজস্থানের এই ধর্ষক ধর্মগুরু রাজ্য সরকার কাছে দণ্ড মওকুফের ওই আবেদন করেছেন।

পাঁচ বছর আগে বিতর্কিত এই ধর্মগুরু নিজের আশ্রমে এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল জোধপুরের একটি আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। পরে আদালত স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

গত ২ জুলাই আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করেন আসারাম। তবে আদালতের শুনানি তালিকায় এখনো উঠেনি তার এই আপিল।

সম্প্রতি রাজস্থানের গভর্নর কল্যাণ সিংহের কাছে আসারামের সাজা মওকুফের আবেদন পৌঁছেছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছেন আসারামের আবেদন।

আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বয়সের বিবেচনায় 'অত্যন্ত কঠোর' বলে আবেদনে উল্লেখ করেছেন আসারাম বাপু।

২০১৩ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জোধপুরের মানাই এলাকায় নিজের আশ্রমে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ডেকে নেন আসারাম। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এই ধর্মগুরু।

বিশ্বব্যাপী চার শতাধিক আশ্রম রয়েছে এই ধর্মগুরুর। সেখানে তিনি মেডিটেশন এবং ইয়োগা শেখান। গুজরাট শহরে আরও একটি ধর্ষণের ঘটনাও তিনি বিচার চলছে।

আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার রায় নিয়ে জোধপুরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। ওই সময় বিশেষ সতর্কতা জারির পাশাপাশি রাজস্থান, গুজরাট ও হরিয়ানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

এর আগে আরও এক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শাস্তি ঘোষণা করা হয়। এর পরই বিক্ষোভ-সংঘাতে ৩৬ জন নিহত এবং প্রায় দুইশ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়। আসারাম বাপুরও ভক্তের সংখ্যা অনেক।

সূত্র : এনডিটিভি।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।