দশ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল


প্রকাশিত: ০৭:৩৭ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

আদালতের আদেশ অমান্য করায় ১০ ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জাফর আহাম্মদ এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিবাদী ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো : রানা লেদার ইন্ডাস্টিজ এর এমডি আরেফিন সামছুল আলামিন, ভুলেট এন্টার প্রাইজের প্রোপাইটর সায়েদুল হক মাস্টার, পুবালি ট্যানারির প্রোপাইটর মাহবুবুর রহমান, রুমি লেদার ইন্ডাস্টিজ এর এমডি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পাঠান, সালেম ট্যানারির প্রোপাইটর আব্দুস সালাম, করিম লেদার এর প্রোপাইটর রেজাউল করিম, মহিন ট্যানারির প্রোপাইটর ওয়াদুদ মিয়া, নবিপুর ট্যানারির মালিক আব্দুল ওয়াহহাব, এশিয়া ট্যানারির প্রোপাইটর মো. মফিজ এবং প্যারামাউন্ট ট্যানারিরে এমডি আকবর হোসেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় সরকার ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার সাভারে ট্যানারি মালিকদের জন্য জায়গা নির্মাণ করেছেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অনেক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে সাভারে চলে গেলেও ১০টি প্রতিষ্ঠান নির্দেশ মানছেন না। শিল্প মন্ত্রণালয় সচিব আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত এ দশটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন।’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তার আগে ২০০১ সালে হাইকোর্ট হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো অপসারণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানকে সাভারে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

কিন্তু হাইকোর্টের ওই নির্দেশে ১০টি প্রতিষ্ঠান পালন করেনি। তাই মঙ্গলবার ট্যানারি মালিকদের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন আদালত।

এফএইচ/এসএইচএস/এমআরআই


পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।