জমিজমার বিরোধের জেরে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা


প্রকাশিত: ০৭:১৬ এএম, ১১ আগস্ট ২০১৫
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে মানবপাচার চক্রের হোতার বিরুদ্ধে। উপজেলার রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা মৃত. মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে আ. ছালাম হাওলাদার সোমবার বিকেলে শরণখোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, তার প্রতিবেশি মৃত. আ. লতিফ খলিফার ছেলে ভারতে নারী ও শিশু পাচার চক্রের হোতা ছিদ্দিক খলিফা, তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম এবং শ্যালক ফুল মিয়ার সঙ্গে তার ভোগ দখলীয় দুই একর সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষরা শতাধিক সন্ত্রাসী ভাড়া করে গত ৩০ জুলাই উক্ত সম্পত্তি জবর দখল করে তাতে ধানের চারা (বীজ) রোপণ করেন। একই দিন রাতে দালাল ছিদ্দিকের বাড়িতে ভুরিভোজ শেষে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা উল্লাস করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই দিন থেকে তার নাতনী উপজেলার ১৫নং রাজৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তার (১২) নিঁখোজ হয়। পরবর্তীতে একই এলাকার রাস্তার পার্শ্বের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ফারজানার ঝুলন্ত মৃতদেহ তিনদিন পর গত ৩ আগস্ট দুপুরে উদ্ধার করে শরণখোলা থানা পুলিশ।

লিখিত বক্তব্যে ছালাম হাওলাদার আরো বলেন, ভারতের দালাল ছিদ্দিক খলিফা এক সময় পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করলেও বর্তমানে তিনি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থেকে অল্প দিনেই আঙুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছেন। সম্প্রতি বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জমির বিরোধ নিরসনের জন্য তাদের নোটিশ প্রদান করলেও তা তিনি তোয়াক্কা করছেন না। তিনি উক্ত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।

তবে, অভিযুক্ত ছিদ্দিক খলিফা জাগো নিউজকে বলেন, জমি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি থাকলেও তিনি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন।

শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জাগো নিউজকে জানান, কিশোরী ফারজানার মৃত্যু হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। আপাতত অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো সম্পৃক্ততা থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শওকত আলী বাবু/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।